উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
প্রসঙ্গত, একমসয় মালদহের আন্তর্জাতিক সীমান্ত পাচারকারীদের কাছে স্বর্গরাজ্য হিসাবে বিবেচিত হতো। এখনও এ জেলার কালিয়াচক এবং বৈষ্ণবনগর থানা এলাকার সীমান্ত হয়ে বিপুল পরিমাণে জাল নোট, মাদক ও গোরু পাচার হয় বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসে জাল নোট। তার পরিবর্তে এপার থেকে মাদক পাচার হয় ওপারে। ইয়াবা ট্যাবলেট এবং কাফ সিরাপ পাচারের রমরমাও ওই এলাকায় বেশি চোখে পড়ে। বাংলাদেশে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন সক্রিয় রয়েছে। তারা পাচারও নিয়ন্ত্রণ করে। পাচারের কাঁচা টাকা জঙ্গি নেটওয়ার্ক তৈরি করতে ব্যবহৃত হয় বলে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন। সেক্ষেত্রে পাচার এবং জঙ্গি কার্যকলাপ অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত রয়েছে বলে গোয়েন্দা সংস্থাগুলির অভিমত।
এদিকে, মুর্শিদাবাদ কাণ্ডের তদন্তে নেমে এনআইএ বেশ কিছু তথ্য হাতে পেয়েছে। জঙ্গি সংগঠনের মাথারা বেকারদের টাকার লোভ দেখিয়ে নিজেদের দিকে টানার ছক কষছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে। হুণ্ডির মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে নেপাল ও বাংলদেশে হয়ে এরাজ্যে অর্থ পৌঁছনোর বিষয়টি এর আগেও বহুবার উঠে এসেছে। ওই চক্রের সঙ্গে পাচারকারীদের যোগ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে গোয়েন্দারা মনে করছেন। মালদহ জেলা পুলিসের এক কর্তা বলেন, পাচারকারীরা প্রতিষ্ঠান বিরোধী হয়। আইন প্রণয়নকারী প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাগুলির উপর আক্রমণের পিছনে পাচারের সঙ্গে যুক্তদের হাত পাওয়া গিয়েছে। জঙ্গিদের মানসিকতাও একই ধরনের। ফলে দুই পক্ষের মধ্যে আঁতাত থাকাটা অসম্ভব নয়। নানা কারণে সরকার বা নিরাপত্তা সংস্থাগুলি বিব্রত থাকলে পাচারে সুবিধা হয়। ফলে জঙ্গিদের পিছনে অর্থ ঢালাটাও স্বাভাবিক। অনেক সময় জঙ্গি সংগঠনগুলি পাচারকারীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের চাঁদাও আদায় করে। নিজেদের কারবার ঠিক রাখতে ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়েও মাফিয়ারা টাকা দেয়। ওই ধরনের কোনও লেনদের জেলায় চলছে কি না, তা আমরা খতিয়ে দেখছি।