বিদ্যার্থীরা কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষার ভালো ফল করবে। বিবাহার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের কারও ... বিশদ
মাল শহরের বিজেপি নেতা তথা উত্তর কলোনির বাসিন্দা মানিক বৈদ্য বলেন, পুরসভার সবক’টি ওয়ার্ডেই পানীয় জলের কষ্ট রয়েছে। সকালে ও বিকেলে মাত্র ৩০ মিনিট জল পাওয়া যায়। কিন্তু তাও অনিয়মিত এবং জলে ফোর্স কম। ফলে ওই জল ওভারহেড রিজার্ভারে ওঠে না। বাধ্য হয়ে আমাদের জল কিনেই খেতে হচ্ছে। কিন্তু এও দেখা যাচ্ছে, অন্য অংশে পানীয় জলের অপচয় হচ্ছে। আমরা বারবার এসব বিষয় পুরসভার নজরে এনেছি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ সমস্যা মেটাতে কখনওই উদ্যোগ নেয়নি।
পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর কলোনির বাসিন্দা দেবজ্যোতি চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমাদের এখানেও জলের মারাত্মক সঙ্কট রয়েছে। দিনে দু’বার জল এলেও ওই জল রিজার্ভারে ভরতে প্রচুর সময় লেগে যায়। তাই আমরা চাই পুরসভা দিনে তিনবার জল দিক।
পুরসভার প্রশাসক বলেন, আমরা পুরবাসীর সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি। কিন্তু এখন লকডাউনের কারণে কর্মীসংখ্যা অনেক কম রয়েছে। তাই কিছুটা সময় লেগে যাচ্ছে। কয়েক জায়গায় আমাদের কাজ শুরু হয়েছে। আশা করি, দ্রুত পানীয় জল পরিষেবা স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এখন দিনে দু’বার জল দেওয়া হচ্ছে। তবে আগামী দিনে তিনবার যাতে জল দেওয়া যায়, তার ব্যবস্থা আমরা করব। কিন্তু জলের অপচয় যাতে না করা হয়, সেটা পুরবাসীকেই নিশ্চিত করতে হবে।
মাল পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের আদর্শ কলোনি, রামকৃষ্ণ পল্লি, ২ নম্বর ওয়ার্ডের মহাকাল পাড়া সহ বিভিন্ন এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। পুরসভা থেকে পানীয় জল নির্দিষ্ট সময়ে ছাড়া হলে বাসিন্দারা বাড়ির ওভারহেড রিজার্ভারে সঞ্চয় করেন। ওই জল পানীয় জল হিসেবে ব্যবহার করার পাশাপাশি বাসিন্দারা তা দিয়ে দৈনন্দিন সব কাজই করেন। কিন্তু মাত্র ৩০ মিনিট জল পাওয়ায় এবং তাতে ফোর্স না থাকাতেই বাসিন্দাদের সমস্যা হচ্ছে। এদিকে ৬ নম্বর ওয়ার্ডে কয়েক জায়গায় জলের পাইপ লাইন ফুটো হয়ে জল অনবরত বাইরে বেরিয়ে আসছে। জলের অপচয় দেখেও বাড়ছে ক্ষোভ।