কর্মপ্রার্থীদের কোনও সুখবর আসতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদন্নোতির সূচনা। গুপ্ত শত্রু থেকে সাবধান। নতুন কোনও প্রকল্পের ... বিশদ
জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র বলেন, মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গা থেকে শ্রমিকরা মালদহে ফিরতে আরম্ভ করেছেন। তাঁদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও প্রয়োজনে সোয়াবের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আপাতত তাঁরা কোয়ারান্টাইন সেন্টারে থাকবেন। দু’দিনে ছয় থেকে সাত হাজার শ্রমিক মহারাষ্ট্র থেকে মালদহে ফিরবেন বলেও জানিয়েছেন জেলাশাসক।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবারের মধ্যে মোট ২৩ টি শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন বিভিন্ন রাজ্য থেকে মালদহে এসেছে। এর মধ্যে মহারাষ্ট্র থেকেই এসেছে ১৪টি ট্রেন।
শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৭টি ট্রেন মালদহে এসেছে। ফেরত আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের সকলেই মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন এলাকায় কাজ করতে গিয়েছিলেন। বাড়ি ফিরে এসে খুশি হলেও তাঁরা যথেষ্ট আতঙ্কিত তাঁদের সোয়াবের নমুনা সংগ্রহ না হওয়ায়।
এই প্রসঙ্গে উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক-২ অমিতাভ মণ্ডল বলেন, আমরা রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশ মেনেই কাজ করছি। যাঁদের শরীরের করোনার প্রাথমিক লক্ষণ পরিস্ফুট হয়নি, তাঁদের সোয়াব সংগ্রহ করা হয়নি। যাঁদের শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি রয়েছে, তাঁদের সকলেরই সোয়াব সংগ্রহ করা হয়েছে। ওই স্বাস্থ্য আধিকারিক স্বীকার করে নেন, মালদহ মেডিক্যাল কলেজে সোয়াব নমুনার পাহাড় জমছে। তাই এই মুহূর্তে সকলের সোয়াব সংগ্রহ করা হলেও তা দ্রুত পরীক্ষা করা হয়তো সম্ভব হবে না।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিযায়ী শ্রমিকদের সকলকেই কোয়ারান্টাইন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের লোকেরা চাইলে তাঁদের খাবার দিতে পারেন। অন্যথায় তাঁদের খাবারের ব্যবস্থা প্রশাসন করবে পঞ্চায়েতের মাধ্যমে। ফেরত আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের চিহ্নিত করতে তাঁদের প্রত্যেকের হাতে একটি বিশেষ চিহ্নও দিয়ে দেওয়া হয়েছে ট্রেন থেকে নামার পরে।