প্রণয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকবে। কারও কথায় মর্মাহত হতে হবে। ব্যবসায় শুরু করা যেতে পারে। কর্মে সুনাম ... বিশদ
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে এলাকার হাইমাস্ট লাইট জ্বলেনি। তাই তাঁদের দাবি, পরপর তিনটি জায়গায় চুরি সম্পূর্ণ পরিকল্পনা মাফিক করা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা পুলিসকে গোটা ঘটনার দ্রুত তদন্ত শেষ করে দুষ্কৃতীদের ধরার দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাতে ঘনঘন পুলিসের টহল দেওয়ার দাবি করেছেন।
সাপ্টিবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের বুলবুল আলম বলেন, পঞ্চায়েত অফিসে সমব্যথী প্রকল্পের ৩০ হাজার টাকা রাখা ছিল। ওই টাকা চুরি হয়েছে। তাছাড়াও বিভিন্ন কর বাবদ আদায় করা আরও ৩২ হাজার টাকা নেই। জেলা থেকে সমব্যথীর প্রকল্পের টাকা অফিসে এসেছিল। লকডাউনের কারণে আমরা ওই টাকা বিলি করতে পারিনি। এখন কী করব জানি না।
দুষ্কৃতীরা পঞ্চায়েত অফিসের ছ’টি তালা ভাঙে ভিতরে ঢোকে। অফিসে ফাইলপত্র তছনছ করার পাশাপাশি বেশকিছু আলমারির লকার ভাঙে। দু’টি কম্পিউটারও নিয়ে যায়। দুষ্কৃতীরা সাপ্টিবাড়ি বাজারের ব্যবসায়ী দীপেন বর্মনের মোবাইলের রিপেয়ারিংয়ের দোকানের তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দামি একটি ক্যামেরা নিয়ে যায়। প্রায় ২০টি দামি ফোন যেগুলির কয়েকটি নতুন এবং বাকিগুলি মেরামত করার জন্য রাখা ছিল ওসবও নিয়ে গিয়েছে। তাছাড়াও ৩০টি হেডফোন, ২০টি মোবাইল ব্যাটারি সহ ক্যাশবাক্স ভেঙে ৩০০০ টাকা নিয়ে যায়। দীপেনবাবুর দাবি, তিনি মোবাইল ফোন মেরামতের পাশাপাশি ক্যামেরাটি দিয়ে পাসপোর্ট ছবি তুলতেন। সেটির দাম ৫০ হাজার টাকা ছিল। দোকানের শাটারের ভেঙে দুষ্কৃতীরা ঢোকে।
ওই বাজারেই থাকা একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যঙ্কের গ্রাহক সেবা কেন্দ্র থেকে দুষ্কৃতীরা স্ক্যানার, সিপিইউ নিয়ে যায়। ওই কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা এজেন্ট দুলাল সেন বলেন, জানালার গ্রিল ভেঙে চোর ঢোকে। গুরুত্বপূর্ণ কিছু ফাইল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে লকার ভাঙলেও সেখানে টাকা ছিল না। আমি চাই, পুলিস দুষ্কৃতীদের দ্রুত চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করুক।
ময়নাগুড়ি থানার আইসি অসীম গোপ বলেন, আমরা তদন্তে নেমেছি। আশা করি, দ্রুত অপরাধীরা ধরা পড়বে।