প্রণয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকবে। কারও কথায় মর্মাহত হতে হবে। ব্যবসায় শুরু করা যেতে পারে। কর্মে সুনাম ... বিশদ
গৌড়বঙ্গের জেলাগুলিতে ধান, পাট, আম, লিচু সহ মাঠে থাকা অন্যান্য ফসল এবং গ্রীষ্মকালীন শাক-সব্জির ক্ষতি হয়েছে। মালদহ কৃষি দপ্তর জানিয়েছে, প্রায় ১৬ হাজার হেক্টর জমির ধান ক্ষতি হয়েছে। সেইসঙ্গে প্রায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন আম এবং ১ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন লিচু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুই দিনাজপুরেও বোরো ধান চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কৃষি দপ্তর গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। যদিও একটাই আশার আলো, ঝড়ের সম্ভাবনা নেই। তবে হাওয়া অফিস ভারী বৃষ্টিপাতেরও পূর্বভাস দিয়ে রাখায় সতর্ক হচ্ছেন কৃষকরা।
শুক্রবার কোচবিহার থেকে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার থেকে শিলিগুড়িতে বৃষ্টি হয়। এরফলে তাপমাত্রার পারদ অনেকটাই নেমে যাওয়ায় ঠান্ডা অনুভূত হয়। আজ, শনিবার এই অঞ্চলে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার শিলিগুড়িতে সকালের দিকে ঝিরঝিরে বৃষ্টি হয়। দুপুরে বৃষ্টি কমলেও সূর্যের দেখা মেলেনি। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার শহরেরও একইরকম আবহাওয়া ছিল। এদিকে কোচবিহারের তোর্ষা নদীতে জল বৃদ্ধিতে ফাঁসিরঘাটের অস্থায়ী বাঁশের সাঁকোটি ভেসে যায়। ফলে কোচবিহার ও শুটকাবাড়ির মধ্যে যাতায়াত বন্ধ হয়ে আছে।
তবে দিনভর মেঘলা আকাশ ও বৃষ্টির কারণে লকডাউনের চতুর্থ পর্বে সরকারি নির্দেশে মার্কেট খুললেও ভিড় হয়নি। কৃষিদপ্তর জানিয়েছে, উম-পুনের জেরে লঙ্কা, পটল খেতে ক্ষতি হয়েছে। একইভাবে বোরো ধান কাটতে গিয়েও কৃষকদের সমস্যা মুখে পড়তে হচ্ছে।
এদিকে কোচবিহারের সেচ দপ্তরের সুপারিনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার স্বপন সাহা জানিয়েছেন, জেলার নদীগুলিতে জল কিছুটা বাড়লেও নদীবাঁধ সুরক্ষিত রয়েছে। আলিপুরদুয়ার সেচ দপ্তরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার প্রিয়ম গোস্বামী জানিয়েছেন, নদীবাঁধগুলি আমরা খতিয়ে দেখছি।
আলিপুরদুয়ার জেলা কৃষি দপ্তরের সহ অধিকর্তা হরিশচন্দ্র রায় বলেন, বৃষ্টিতে খেতে জল জমে যাওয়ায় তিল, পাট ও লঙ্কা চাষে ক্ষতি হবে।