ছোট ও মাঝারি ব্যবসায় উন্নতি। বেচাকেনা আর উপার্জন বাড়বে। যে কোনও কাজে ব্যস্ততা বৃদ্ধির যোগ। ... বিশদ
ইমরানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে গত ৯ মে ব্যাপক হিংসা ছড়িয়েছিল পাকিস্তানে। রাওয়ালপিণ্ডিতে সেনার সদর দপ্তর ও লাহোরে সেনাকর্তার বাড়িতে পর্যন্ত হামলা চালিয়েছিল ইমরানের সমর্থকরা। এই অবস্থায় বুধবার পাক পাঞ্জাবের অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্যমন্ত্রী আমির মির সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘হিংসায় জড়িত ৩০ থেকে ৪০ জন জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে লাহোরে ইমরানের জামান পার্কের বাড়িতে। জিও-ফেন্সিং প্রযুক্তির মাধ্যমে ওই জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার প্রমাণ পেয়েছি আমরা। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই ‘জঙ্গি’দের পুলিসের হাতে তুলে দিতে হবে। নাহলে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর দল পিটিআইয়ের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ এরই মধ্যে এদিন ইসলামাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশে সাময়িক স্বস্তি পেলেন কাপ্তান। আদালতের নির্দেশ, ৯ মের হিংসা পরবর্তী সময়ে দায়ের হওয়া কোনও মামলায় পিটিআই প্রধানকে আগামী ৩১ মে পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা যাবে না।
এদিন মির দাবি করেন, ইমরান খানের গ্রেপ্তার হওয়ার আগে থেকেই সেনা দপ্তরে হামলা চালানোর ছক কষেছিল পিটিআই। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সামরিক আইন ও সরকারি গোপনীয়তা আইনে হামলাকারীদের বিচার হবে সেনা আদালতে। সরকারের এই সিদ্ধান্তে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটিও সম্মতি দিয়েছে বলে জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের তরফে। যদিও পাক সরকারের সামরিক আইন প্রয়োগের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সরব হয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যেই ইমরানের দলের সাত হাজারের বেশি কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দলের নেতা-কর্মীদের এই ‘বেআইনি গ্রেপ্তারি’র প্রতিবাদে এদিন সুর চড়িয়েছেন স্বয়ং পিটিআই সুপ্রিমোও। বিশেষ করে পিটিআইয়ের মহিলা কর্মী, নেতাদের বাড়ির মহিলা সদস্যদের গ্রেপ্তারির প্রতিবাদ করেছেন তিনি। মঙ্গলবারই তিনি অভিযোগ করেছিলেন, দলের প্রতিবাদী কর্মীদের মধ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে আগ্নেয়াস্ত্র সহ লোকজন ঢুকিয়ে দিয়েছিল শাহবাজ সরকারই।