ইসলামাবাদ: ‘আপনাকে দেখে ভালো লাগল’। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে সৌজন্য দেখানোর মাশুল গুণতে হচ্ছে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি উমর আটা বান্দিয়ালকে। তাঁর বিরুদ্ধে এককাট্টা শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন সরকার। ইমরানকে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ছাড় দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। এই অভিযোগে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে বান্দিয়ালের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ করাল সরকার। প্রধান বিচারপতির ‘কার্যকলাপ’ খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গঠন নিয়ে প্রস্তাবটি পাশ হয়েছে। সোমবার পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, প্রধান বিচারপতির কার্যকলাপের এক্তিয়ার নিয়ে পার্লামেন্টের কঠোর বার্তা দেওয়া উচিত। এহেন পরিস্থিতিতে সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগ করতে হবে পার্লামেন্টকে। প্রধান বিচারপতি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে অন্যায়ভাবে সমর্থন করেছেন বলেও অভিযোগ আসিফের। বান্দিয়ালের সমালোচনায় সরব হয়েছেন পিএমএল-এন নেত্রী তথা নওয়াজ শরিফের কন্যা মারিয়াম শরিফ। তিনি প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের দাবি তুলেছেন। বান্দিয়ালের পদত্যাগের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন পিএমএল-এনের সমর্থকরা।
যদিও এদিন নিজের মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘আমি খান সাহেবকে অভিবাদন করার জন্য সমালোচিত হচ্ছি। তবে প্রায়শই আমি এই বাক্যটি ব্যবহার করে থাকি। তাছাড়া প্রত্যেক মানুষকে সম্মান ও সৌজন্য দেখানো উচিত। আমার মন্তব্যের সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।’ মঙ্গলবার ‘কাপ্তান’কে বড় স্বস্তিও দিয়েছে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। ঘৃণা ভাষণের মামলায় আগামী ৮ জুন পর্যন্ত ইমরানের জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। একইসঙ্গে লাহোরের জামান পার্কে হিংসা ছড়ানোর মামলাতেও ১৯ মে পর্যন্ত জামিন দিয়েছে সন্ত্রাস দমন আদালত। ইমরানের বিরুদ্ধে মোট ১২০টি মামলা দায়ের হয়েছে। তার মধ্যে ছ’টি মামলায় আগাম জামিন চেয়ে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পিটিআই সুপ্রিমো। সেই আবেদনের রায়দান আপাতত স্থগিত রেখেছে হাইকোর্ট।