কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। হঠাৎ প্রেমে পড়তে পারেন। কর্মে উন্নতির যোগ। মাঝেমধ্যে ... বিশদ
ব্রিটেনের পশ্চিম প্রান্তে এই ওয়ে দ্বীপে সাধারণত কারও আনাগোনা নেই। কয়েকটি বাড়ি অবশ্য আছে। প্রচণ্ড গরমে তাদের মালিকরা সেখানে আসেন। আবার শীতের মরশুমে দ্বীপটি জনমানবহীন হয়ে পড়ে। তাই নিজেদের মতো করে সময় কাটাতে সেখানে আসেন ফ্ল্যানাগেন দম্পতি। তারিখটা ১৪ মার্চ, ২০২০। ঠিক তার দু’দিন পরই ব্রিটেনজুড়ে জারি হয় লকডাউন। তারপর টেমস দিয়ে বয়ে গিয়েছে অনেক জল। সেদেশে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। আনলক পর্বে মাতামাতিও করেছেন সাধারণ মানুষ। তারপর নয়া স্ট্রেইন এবং আবার লকডাউন। কিন্তু ব্রিটিশ দম্পতি শহরে ফেরেননি। দ্বীপে বসে জানতেও পারেননি কোভিডের কোপে গোটা বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষের মৃত্যুর কথা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, ওই দম্পতির বাড়ি ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ারের লিডসে। বছরখানেক এক বিজ্ঞাপন থেকে তাঁরা ওয়ে দ্বীপে নিভৃতে কাটানোর কথা জানতে পারেন। ছোট কটেজে লোকচক্ষুর আড়ালে রোম্যান্সের সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি লিউক-সারা। গোটা গ্রীষ্মজুড়ে তাঁরা খাবার ও নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সঞ্চয় করতে থাকেন। পরে গত মার্চ মাসে রওনা দেন ওয়ে দ্বীপে। নিজেদের প্রয়োজন মেটাতে বৃষ্টির জল ধরে রাখছেন। রান্না করছেন গ্যাস-বটল আর কয়লা দিয়ে। সৌরশক্তির সাহায্যে গাড়ি ও ফোনের ব্যাটারিতে চার্জ দিচ্ছেন দু’জনে। তাঁদের এই জীবনযাপন অনেকাংশেই ড্যানিয়েল ডিফোর উপন্যাস রবিনসন ক্রুসোর কথা মনে করিয়ে দেয়। জাহাজডুবির পর তাঁর ঠাঁই হয়েছিল দ্বীপে। সঙ্গী ছিল পোষ্য কুকুর ও দুই বিড়াল।
সংবাদমাধ্যমকে সারা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন গোটা বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্কচ্যুত ছিলেন তাঁরা। সম্প্রতি তিনি লিডসে মায়ের সঙ্গে কথা বলেন। করোনা পরিস্থিতির কথা শুনে অবাক হয়ে যান। বিশ্বজুড়ে যে এহেন ভয়াবহ ঘটনা ঘটছে, ঘুণাক্ষরেও টের পাননি দু’জনে। একই প্রতিক্রিয়া লিউকেরও। ভাইরাস আতঙ্ক শুনেও যেন বিশ্বাস হচ্ছে না ব্রিটিশ দম্পতির।