উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
করোনা মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশ্বজুড়ে বহু ভ্যাকসিনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় যে ভ্যাকসিনের গবেষণা চালাচ্ছে, তার নাম দেওয়া হয়েছে ‘এজেডডি১২২২’। বাণিজ্যিকভাবে সেই ভ্যাকসিন প্রস্তুত করতে তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা। তৃতীয় দফার হিউম্যান ট্রায়ালেও তারা অনেক এগিয়ে গিয়েছে। অ্যাস্ট্রাজেনেকা ছাড়া করোনা ভ্যাকসিনের তৃতীয় দফার ট্রায়াল শুরু করা ওষুধ সংস্থার তালিকায় রয়েছে মার্কিন কোম্পানি ফাইজার ও মর্ডানা। কিন্তু, অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৃতীয় দফার হিউম্যান ট্রায়াল প্রায় শেষ পর্যায়ে। এই পরিস্থিতিতে করোনা মোকাবিলায় আশা জাগাচ্ছে এই ব্রিটিশ ওষুধ সংস্থা।
মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে তৃতীয় দফার ক্লিনিকাল ট্রায়ালে পৌঁছে গিয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। আর যে সমস্ত সংস্থা ট্রায়ালের প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে গিয়েছে, সেই তালিকায় ঢুকে পড়ল অ্যাস্ট্রাজেনেকা।’ এরপরেই বুক বাজিয়ে তাঁর প্রশাসনের কৃতিত্ব প্রচার করেন তিনি। ট্রাম্পের কথায়, ‘গত কয়েক মাসে করোনা ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে আমেরিকা যে অগ্রগতি করেছে, অন্য দেশের ক্ষেত্রে তা করতে গেলে বহু বছর লেগে যেত। আমেরিকায় আমরা যা করেছি, কেউ তা ভাবতেই পারে না।’ এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে আমেরিকা সঠিক পথে এগচ্ছে। দেশবাসীকে দ্রুত ভ্যাকসিন উপহার দিয়ে আমরা নজির গড়ব।’ পাশাপাশি, দেশে করোনা সংক্রমণ ৩৮ শতাংশ কমেছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
গত সোমবারই আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ (এনআইএইচ) ঘোষণা করেছিল, অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা ভ্যাকসিন ‘এজেডডি১২২২’-এর তৃতীয় দফার ট্রায়াল শুরু হবে। আমেরিকার ৮০টি জায়গা থেকে প্রায় ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে। প্রসঙ্গত, আমেরিকায় ইতিমধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬০ লক্ষ ৩০ হাজার ৭৮২ জন। প্রাণ হারিয়েছেন ১ লক্ষ ৮৩ হাজার ৫৯৬ জন। আক্রান্ত ও মৃত্যুর নিরিখে গোটা বিশ্বে শীর্ষস্থানে রয়েছে আমেরিকা।