বিদ্যায় সাফল্য ও হতাশা দুই-ই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। মামলা-মোকদ্দমার কোনও পরিবেশ তৈরি ... বিশদ
প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে রবিবার উত্তর কোরিয়ার মাটিতে পা রাখেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। দুই কোরিয়ার বিভাজন রেখা বা সীমান্ত কোরিয়ান ডিমিলিটাইজড জোনে গিয়ে উত্তর কোরিয়ার ‘স্বৈরাচারী’ শাসক কিম জন উনের সঙ্গে হাত মেলান। পরে দু’জনের মধ্যে বৈঠকও হয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, কোরিয়ান উপমহাদেশে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ করতে দুই রাষ্ট্রনেতা আলোচনার প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন। রবিবার ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জা-ইনের সঙ্গে পৌঁছন ডিমিলিটাইজড জোনে। সেখানে উপস্থিত উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী তাঁকে সীমান্ত অতিক্রম করার আমন্ত্রণ জানান। ট্রাম্প আমন্ত্রণ গ্রহণ করে। তাঁকে স্বাগত জানাতে আসনে কিম জন উন। ৬৬ বছরের দীর্ঘ লড়াই দুই কোরিয়ার মধ্যে যে বিভেদের লাইন তৈরি করেছে, তা অতিক্রম করে উত্তর কোরিয়ায় পা রাখেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে দাঁড়িয়ে কিমের সঙ্গে করমর্দন করেন তিনি।
ট্রাম্পের এই পদক্ষেপকে ‘ঐতিহাসিক’ বলেছে প্রায় প্রতিটি দেশ। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্টকে নিজের দেশেই সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। নিউ ইয়র্ক টাইমস প্রথম পাতায় ট্রাম্প-কিমের বৈঠককে ‘চরম নাটক’ বলে কটাক্ষ করেছে। তাদের মতে, এই ধরনের নাটক প্রায় টিভিতে দেখা যায়। এই নিয়ে তিনবার কিমের মুখোমুখি হলেন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট। এর আগে তিনি বলেছেন, আমি কিমের প্রেমে পড়েছি। যদিও সেই প্রেম বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। মার্কিন সংবাদমাধ্যমের দাবি, ঐতিহাসিক বৈঠক কতটা সফল হয়, সেটাই দেখার।
ইঙ্গিতটা অবশ্য শনিবার দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি লিখেছিলেন, পিয়ংইয়ং এবং আমেরিকার মধ্যে দীর্ঘদিনের অচলাবস্থা কাটানোর চেষ্টা চলছে। পরদিনই তিনি হাজির হয়ে যান উত্তর কোরিয়ায়। প্রথমে দুই কোরিয়ার বিভাজন রেখায় দাঁড়িয়ে পরস্পরের সঙ্গে হাত মেলান কিম জন উন এবং ট্রাম্প। সেখান থেকে হেঁটে উত্তর কোরিয়ার মাটিতে পা রাখেন তিনি। পরে দু’জনের মধ্যে দীর্ঘ বৈঠক হয়। বৈঠকের পর ট্রাম্প বলেন, আজ বিশ্বের কাছে একটি বিশেষ দিন। এখানে আসতে পারাটা সম্মানের। অন্যদিকে, কিম বলেন, এই বৈঠক প্রমাণ করল, আমরা অতীতকে পিছনে ফেলে এসেছি। রবিবারই হোয়াইট হাউসে ফিরে এসে ট্রাম্প বলেন, কোরিয়ানরা এই বৈঠককে ঐতিহাসিক বলেছে। আমিও লক্ষ্য করে দেখেছি, কোরিয়ার বহু মানুষের চোখে জল। উত্তর কোরিয়ার তাঁর প্রথম পদক্ষেপ দেখে আবেগপ্রবণ হয়েছেন অনেক কোরিয়াবাসী।