বিদ্যায় সাফল্য ও হতাশা দুই-ই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। মামলা-মোকদ্দমার কোনও পরিবেশ তৈরি ... বিশদ
ট্রাম্প ও কিমের মধ্যে শেষবার সাক্ষাৎ হয়েছিল ফেব্রুয়ারি মাসে ভিয়েতনামে। কিন্তু দুই দেশই অবস্থানে অনড় থাকায় ভেস্তে গিয়েছিল আলোচনা। সংঘাত আরও বাড়ে। তবে তা সত্ত্বেও দুই নেতার মধ্যে চিঠি বিনিময় জারি ছিল। এদিনের সাক্ষাতের পর ট্রাম্পের ঘোষণা, ফের আলোচনার টেবিলে বসতে রাজি হয়েছে দুই দেশই। তবে এই আলোচনার ভবিষ্যৎ কতটা ইতিবাচক বা উত্তর কোরিয়া পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে কতটা সদিচ্ছা দেখাবে, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। কারণ দীর্ঘ শত্রুতা পেরিয়ে গত বছর থেকে আমেরিকা ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে শুরু হওয়া কূটনৈতিক দৌত্য এখনও বড় কোনও সাফল্যের মুখ দেখেনি। আলোচনার পর্ব শুরু হয়েছিল সিঙ্গাপুর থেকে। তা সত্ত্বেও হুমকি ও রক্তচক্ষু প্রদর্শনের পালা জারি ছিল। পত্র বিনিময় সত্ত্বেও দুই নেতার মধ্যে কটাক্ষের লড়াই জারি ছিল। কিম জং উনকে ‘লিটল মিসাইল ম্যান’ বলে তোপ দেগেছিলেন ট্রাম্প। আবার দুই নেতারই হুমকি ছিল, ধ্বংসলীলা চালানোর বোতামটা তাঁদের টেবিলেই থাকে। যদিও তিক্ততার এই সম্পর্ক সত্ত্বেও এদিন ট্রাম্প যেভাবে একেবারে উত্তর কোরিয়ার মাটিতে পা দিয়ে দিলেন, ভবিষ্যৎ কূটনীতিক পক্ষে তা নিশ্চিতভাবেই তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়।
‘ডিমিলিটারাইজড জোনে’ দক্ষিণ কোরিয়ার দিকে পানমুনজম গ্রামের ‘ফ্রিডম হাউসে’ এদিন প্রথম সাক্ষাৎ হয় কিম ও ট্রাম্পের। পরে ‘ডিমিলিটারাইজড জোনে’ সীমানা রেখার কাছে দাঁড়িয়ে ছবি তুললেন দুই রাষ্ট্রনেতা। চওড়া হাসি নিয়ে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্তে’ করমর্দন করলেন ট্রাম্প-কিম। এর পরই গোটা বিশ্বকে অবাক করে এগিয়ে গেলেন সামনের দিকে। সীমানা পেরিয়ে কয়েক কমদ বাড়িয়ে ঢুকে পড়লেন উত্তর কোরিয়ার ভূখণ্ডে। সেখানেও একদফা হাসিমুখে ছবি তুললেন দুই নেতা। এমন এক ‘ঐতিসাহিক মুহূর্তে’র প্রশংসায় পঞ্চমুখ কিমও। উত্তর কোরিয়ার শাসক বললেন, ‘আমার বিশ্বাস, দুর্ভাগ্যজনক সব অতীত পিছনে ফেলে নতুন এক ভবিষ্যৎ শুরুর লক্ষ্যেই তাঁর (ট্রাম্প) এই পদক্ষেপ।
কিমের কথায়, শনিবার সাক্ষাতের আমন্ত্রণ জানিয়ে ট্রাম্প ট্যুইট করেছিলেন (জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে জাপানের ওসাকা থেকে), তা দেখে ‘অবাক হয়েছিলাম। ঘটনাচক্রে, গতকাল ট্রাম্পের ট্যুইট ছিল, দু’মিনিটের জন্য সাক্ষাৎ করতে চান। শুভেচ্ছা বিনিময় হবে। কিমের সঙ্গে করমর্দন করে তাঁকে ‘হ্যালো’ বলতে চান। কথা হবে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে ‘ডিমিলিটারাইজড জোনে’। কিন্তু সেই দু’মিনিটের সাক্ষাতের আকাঙ্ক্ষা এদিন গড়াল প্রায় ৫০ মিনিটের আলোচনা পর্বে। ‘ফ্রিডম হাউসে’ কিমের সঙ্গে এদিনের আলোচনার সময় ট্রাম্পের সঙ্গে ছিলেন তাঁর মেয়ে ইভাঙ্কা ও জামাই জারেড কুশনার। ইভাঙ্কা ও জারেড দু’জনেই হোয়াইট হাউসের উপদেষ্টা পদে রয়েছেন।
দু’মিনিটের সাক্ষাৎ পর্ব শুধুমাত্র ৫০ মিনিটের আলোচনায় গড়াল না, সবাইকে অবাক করে সীমানা পেরিয়ে উত্তর কোরিয়া প্রবেশ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সাংবাদিকদের বললেন, ‘তাড়াহুড়ো করতে চাই না, আমরা সঠিক দিশার দিকে তাকিয়ে। আলোচনার মধ্যে দিয়ে কোনও এক সময় সঠিক জিনিসটা ঘটে যেতেই পারে। সিঙ্গাপুরে গত বছরের প্রথম সাক্ষাতের পর থেকে অসাধারণ উন্নতি ঘটেছে। আগে পরিস্থিতি মারাত্মক বিপজ্জনক বলে চিহ্নিত হতো। কিন্তু আমাদের প্রথম সাক্ষাতের পর থেকে সব বিপদ কেটে গিয়েছে।’