ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
শনিবার ভারতে করোনা আাক্রান্তের সংখ্যা তিন হাজার ছাড়িয়ে যাওয়ায় প্রবল তৎপরতা শুরু হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের অন্দরে। আজ প্রধানমন্ত্রী করোনার জন্য গঠিত ১১টি ‘এমপাওয়ার্ড গ্রুপে’র সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে সবথেকে বড় যে বিষয়টি উঠে এসেছে তা হল, শুধু দেশ নয়, বিশ্বজুড়ে মাস্ক, সার্জিকাল গ্লাভস, ভেন্টিলেটর এবং পিপিই ইত্যাদি উপকরণের প্রবল সঙ্কট শুরু হতে চলেছে। কারণ প্রত্যেকটি দেশ যত বেশি সম্ভব মেডিক্যাল উপকরণ সংগ্রহ করতে রীতিমতো প্রতিযোগিতায় নেমেছে। একের পর এক দেশ তাবৎ চিকিৎসা সংক্রান্ত উপকরণ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। অর্থাৎ, একমাত্র স্বদেশে উৎপাদিত স্বাস্থ্য উপকরণই সংশ্লিষ্ট দেশগুলিতে পাওয়া যাচ্ছে। আর কোনও সাপ্লাই নেই। সেই আঁচ ভারতেও লাগতে শুরু করেছে। এদিন এমপাওয়ার্ড গ্রুপের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, অত্যাবশকীয় মেডিক্যাল উপকরণ সাপ্লাইয়ে কোনওরকম অভাব যেন না থাকে। এ ব্যাপারে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সংস্থাগুলিকে কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, যাতে কোনও মেডিক্যাল উপকরণের অভাব ভারতে না হয় সেজন্য স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, আন্তর্জাতিক সংগঠনকে এই উপকরণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে বলা হয়েছে। ভারতবাসীকে আরও বেশি বেশি দেশে তৈরি মাস্ক পরতে পরামর্শ দেওয়া হবে। এদিন বিকেলেই স্বাস্থ্যমন্ত্রক সেই নির্দেশিকা ও পরামর্শ দিয়েছে।
সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ হল, এতদিন সর্বদা মাস্ক না ব্যবহার এবং উপসর্গ না থাকলে সুস্থ মানুষকে মাস্ক না পরার যে কথা বলা হয়েছিল, সেই সিদ্ধান্ত বদল করা হয়েছে। কিন্তু এখন বলা হচ্ছে, হোমমেড মাস্ক সকলকেই বাইরে বেরোতে হলে পরা দরকার। আর লোকালয়ে মুখ ও নাক দুটোই ভালো করে ঢাকা দিতে হবে। সেইসঙ্গে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতেই হবে। এদিন কেন্দ্রীয় সরকার নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, যে কোনও প্রকার মেডিক্যাল উপকরণ ও রোগনির্ণয় কিট রপ্তানির ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ করা হল।