পারিবারিক ক্ষেত্রে কলহের আশঙ্কা। ঠান্ডা মাথায় চলুন। বিজ্ঞানী, ব্যবসায়ী, সাহিত্যিকদের শুভ সময়। ... বিশদ
জমি-বাড়ি কিনতে ইচ্ছুক সকলেই প্রথমে জানতে চান নির্দিষ্ট এলাকার ‘সরকারি’ দাম বা ‘ভ্যালুয়েশন’। এতদিন নির্দিষ্ট মৌজা, রাস্তার নাম, প্লট নম্বর, জমির চরিত্র, জমির মাপ, সামনের রাস্তা কতটা চওড়া ইত্যাদি তথ্য দিলে তবেই সেটা জানা যেত। বাড়ি বা ফ্ল্যাটের ক্ষেত্রে এসবের সঙ্গে জমা পড়ত সেখানকার ক্ষেত্রফল। মূলত একটি রাস্তা এবং তার সঙ্গে আনুষাঙ্গিক আরও কিছু বিচার্য বিষয়ের উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হতো একটি জমির প্লটের বা বাড়ির ‘সরকারি’ দাম। প্রস্তাবিত জোনাল ডায়নামিক ভ্যালুয়েশন ব্যবস্থা চালু হলে বদল আসবে এই গোটা প্রক্রিয়ায়। জানা গিয়েছে, নির্দিষ্ট বর্গ কিলোমিটার ধরে আলাদা আলাদা জোন সৃষ্টি করা হবে। রাজ্যের এক আধিকারিক বলেন, ‘ধরা যাক তিন বর্গ কিলোমিটার এলাকাকে একটি জোন হিসেবে ধরা হল। তার একটি নামও দেওয়া হল। এবার এই জোনের জন্য একটি বেস ভ্যালু বা সর্বনিম্ন সরকারি দর স্থির করা হবে। তা অবশ্যই নির্ভর করবে এলাকার অবস্থানের উপর। একই সঙ্গে থাকছে মেট্রো রুট, হাসপাতাল, পার্ক, বাজার, বাসস্ট্যান্ড সহ ১৩-১৪টি বিচার্য ক্ষেত্র। তার ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে দাম।’
কিন্তু এই পদ্ধতিকে ডায়নামিক বলা হচ্ছে কেন? কারণ, এলাকা উন্নয়নের খুঁটিনাটি ‘রিয়েল টাইমে’ যোগ হবে এই ব্যবস্থাপনায়। স্বাভাবিকভাবেই তার জেরে বদলাতে থাকবে একটি নির্দিষ্ট প্লটের জমি বাড়ির ‘ভ্যালুয়েশন’। উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে তার পরিবর্তনের কারণেই এই পদ্ধতিকে ডায়নামিক বলা হচ্ছে বলে দাবি প্রশাসনিক মহলের। এই নয়া ব্যবস্থায় সাধারণের জন্য চালু করা হবে একটি ‘মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন’ বা ‘অ্যাপ’। সেই অ্যাপে অক্ষরেখা-দ্রাঘিমারেখা ধরে নির্দিষ্ট জমির উপর ক্লিক করলেই দেখানো হবে জমিটির বর্তমান ‘সরকারি’ দাম। ফলে আর ঠিকানা, রাস্তার নাম ইত্যাদির প্রয়োজন পড়বে না। জানা গিয়েছে, বর্তমানে সুইজারল্যান্ডে চালু রয়েছে এই পদ্ধতি।