নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আগামী ১৪ ও ১৫ জুন রাজ্যে বসতে চলেছে ইন্ডিয়ান রোড কংগ্রেসের (আইআরসি) কাউন্সিল মিটিং। দীর্ঘ ১৬ বছর পর সড়ক ও যোগাযোগ ব্যবস্থা নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠক হবে বাংলায়। তৃতীয়বারের জন্য সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রকের সদ্য দায়িত্ব পেয়েছেন নীতিন গাদকারি। সাধারণত আইআরসির বৈঠকে আগামী দিনের প্রকল্প নিয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী। তবে এক্ষেত্রে নীতিন গাদকারির পক্ষে উপস্থিত থাকা সম্ভব হচ্ছে না বলেই সূত্রের খবর। ভোট মিটিয়ে মন্ত্রক বণ্টন প্রক্রিয়া শেষ হতে অনেকটা সময় লেগে গিয়েছে। ফলে পুনরায় মন্ত্রিত্ব পাওয়ার দিন কয়েকের মধ্যেই বৈঠকে আসা তাঁর পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। এর মধ্যে কোনও রাজনৈতিক কারণ নেই বলেই ওয়াকিবহাল সূত্রের দাবি। 
শিলিগুড়ির একটি হোটেলে আইআরসির ২২৮তম কাউন্সিল মিটিংয়ের আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিটি রাজ্য সরকার এবং সড়ক নির্মাণ সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন ফোরামের এই বৈঠকে। সড়ক নির্মাণে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার, দুর্ঘটনা রোধ, রাস্তার কাজে দূষণ রোধ, সেতু নির্মাণসহ যাবতীয় খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে সেখানে আলোচনা হবে। তার উপর ভিত্তি করেই পরবর্তীকালে দেশজুড়ে নয়া নিয়ম বা আইন কানুন চালু করবে কেন্দ্র। 
এর আগে বাংলায় ইন্ডিয়ান রোড কংগ্রেসের বৈঠক বসে ২০০৮ সালে। ২০০০ সালেও একই বৈঠকের দায়িত্ব পেয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ। অর্থাৎ এর আগের বার বাংলা আট বছরের মাথায় দায়িত্ব পেয়েছিল। এবার সেই ‘গ্যাপ’ দ্বিগুণ দীর্ঘ হয়েছে। আয়োজনের সম্পূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে ১১ সদস্যের ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট অর্গানাইজিং কমিটির উপর। কমিটির সভাপতি রাজ্য পূর্তদপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার-ইন-চিফ দিলীপ বৈদ্য এবং স্থানীয় সাংগঠনিক সম্পাদক পূর্তদপ্তরের জাতীয় সড়ক শাখার চিফ ইঞ্জিনিয়ার রাজীব চট্টরাজ। 
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমানায় বাংলায় আইআরসির এটাই হতে চলেছে প্রথম বৈঠক। ফলে প্রস্তুতির দিক থেকে কোনোরকম ফাঁক-ফোকর রাখতে চাইছে না রাজ্য। এনিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্তারা নবান্নে কয়েক দফা বৈঠকও করেছেন। 
প্রসঙ্গত, আইআরসির বৈঠক ২০২২-এ বসে উত্তরপ্রদেশে, ২০২৩-এ অপর ‘ডাবল ইঞ্জিন’ রাজ্য গুজরাতে। জুনে কাউন্সিলের মধ্যবর্তী বৈঠকের পরে, আগামী ডিসেম্বরে ভারতীয় রোড কংগ্রেসের বার্ষিক সাধারণ সভাও বাংলায় হওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল। সেখানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর উপস্থিতি সংক্রান্ত জল্পনা নিয়েই শিলিগুড়িতে কাউন্সিল বৈঠকে বসতে চলেছেন সড়ক নির্মাণ ও পথ সুরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।