গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
গত ৪ মে রাজ্যের কিছু সংবাদপত্রে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একটি বিজ্ঞাপন দেয় বিজেপি। সেখানে রাজ্যের শাসকদলকে ‘সনাতন বিরোধী তৃণমূল’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। সেই বিজ্ঞাপনে একাধিক ধর্মীয় বিভেদ সৃষ্টিকারী মন্তব্য ও দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগ ছিল বলে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি। তার পরিপ্রেক্ষিতে ওই দিনই দিল্লিতে তৃণমূল নেতারা লিখিতভাবে কমিশনের কাছে অভিযোগ দায়ের করে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর থেকে বাংলায় প্রকাশিত ওই বিজ্ঞাপনের ইংরাজি ও হিন্দি অনুবাদ তলব করে দিল্লির নির্বাচন সদন। তার ভিত্তিতেই এদিন বঙ্গ বিজেপি সভাপতিকে শো-কজ নোটিস পাঠায় কমিশন। ভোটের বহু আগে থেকেই কমিশন সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করে। সেখানে নির্বাচন চলাকালীন রাজনৈতিক দলগুলিকে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে বিজ্ঞাপন প্রচারে কী কী সতর্কতা নিতে হবে, তা সবিস্তারে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কমিশনের এক কর্তার কথায়, ‘বিজেপির দেওয়া ওই বিজ্ঞাপন কমিশনের গাইড লাইনের পরিপন্থী। কেন এই ধরনের আপত্তিকর বিজ্ঞাপন প্রচার করা হল, তার ব্যাখ্যা চেয়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা ৭২ ঘণ্টার সময় দিয়েছি।’ তার মধ্যে সন্তোষজনক উত্তর না পেলে সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে আইন মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে দাবি ওই কমিশন কর্তার। উল্লেখ্য, এই ভোট পর্বে রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষকে শো-কজ করেছিল কমিশন। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্যের জন্যই ওই পদক্ষেপ ছিল। পাশাপাশি একই অভিযোগে তমলুকের বিজেপি প্রার্থী তথা প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে শোকজ নোটিস ধরিয়েছে নির্বাচন কমিশন।