বিদ্যার্থীরা পড়াশোনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবে। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়বে। অতিরিক্ত চিন্তার জন্য উচ্চ ... বিশদ
আইএমএ’র সর্বভারতীয় সেক্রেটারি জেনারেল ডাঃ আর ভি অশোকন বলেন, শুক্রবারই আমরা পরীক্ষা ব্যবস্থা কত জায়গায় চালু করা উচিত, কতগুলি হাসপাতাল তৈরি রাখা উচিত ইত্যাদি বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, তারা অন্তত ২০০টি করোনা হাসপাতাল সারা দেশে তৈরি রাখবে। যেমন যেমন পরিস্থিতি হবে, হাসপাতালগুলিও চালু করে দেওয়া হবে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক এবং আইএমএ সূত্রের খবর, দেশের প্রতিটি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ এবং জেলা হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা চালুর জন্যও প্রস্তাব জমা পড়েছে। পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে, অচিরেই শুধুমাত্র ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ-এর বাছাই করা পরীক্ষাকেন্দ্রগুলি দিয়ে সামাল দেওয়া যাবে না। সোমবারের মধ্যে সরকার এ বিষয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট করে দেবে বলে আশাবাদী সর্বভারতীয় আইএমএ’র এক শীর্ষকর্তা।
সূত্রের খবর, করোনা আক্রান্তদের একটি বড় অংশেরই তীব্র শ্বাসকষ্টের জন্য ভেন্টিলেটরের প্রয়োজন হয়। এই বিপদ শুরু হওয়ার আগে সারা দেশে ১৫ হাজার ভেন্টিলেটর ছিল। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যেতে পারে, এই আশঙ্কায় কেন্দ্র ২০টি অর্ডিনান্স ফ্যাক্টারিকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ভেন্টিলেটর তৈরি করতে বলেছে। বর্তমানে মোট ভেন্টিলেটরের সংখ্যাও আগের থেকে বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে।
সূত্রের খবর, এদিন থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শুরু হয়ে গেল করোনা পরীক্ষা। আজ, সোমবার তা শুরু হচ্ছে স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনে। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে কোভিড ১৯ পরীক্ষা। এনআইভি’র অনুমোদন মেলায় কিট এলেই অ্যাপোলো গ্লেনিগলস হাসপাতালে এই পরীক্ষা শুরু হবে। পরীক্ষা শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে আরও চারটি প্রাইভেট ল্যাবেও। এছাড়া বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল আরও এক সপ্তাহের মধ্যে এই পরীক্ষা চালু করতে পারে। পরীক্ষা চালু হওয়ার মুখে কম্যান্ড হাসপাতালেও। এছাড়া আরজিকর, মালদহ প্রভৃতি জায়গাতেও ভাইরাল রিসার্চ ডায়গনস্টিক ল্যাবরেটরি থাকায় পরীক্ষার প্রাথমিক পরিকাঠামো আছে। কল্যাণী এইমস, কল্যাণী জেনোমিক্স প্রভৃতি কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানও এই পরীক্ষা করার বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে। সব মিলিয়ে আগামী এক মাসে রাজ্যের সবশুদ্ধ ১৫টি জায়গায় এই পরীক্ষা হতে পারে।
ইতিমধ্যেই দুটি করোনা হাসপাতাল চিহ্নিত করে কাজ শুরু হয়েছে। একটি ৩০০০ বেডের মেডিক্যাল কলেজ। অন্যটি প্রায় ৫০০ বেডের চিত্তরঞ্জন ক্যান্সারের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস।