বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
এরই পাশাপাশি সোমবার প্রকাশ্যে আসা মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত রিপোর্ট নিয়েও কেন্দ্রকে দুষেছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী। তাঁর কথায়, অর্থনীতির নিয়ম অনুযায়ী, মুদ্রাস্ফীতি হলে কর্মসংস্থান বাড়ে। কিন্তু এ কেমন মুদ্রাস্ফীতি! যেখানে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাওয়া তো দূরের কথা, উল্টে কাজ হারাচ্ছেন লাখ লাখ মানুষ। অর্থনীতির দুঁদে ছাত্র অমিতবাবুর কথায়, এটাকে ইনফ্লেশন নয়, স্ট্যাগফ্লেশন বলে। সত্তরের দশকে ছাত্রাবস্থায় আমেরিকায় তার প্রভাব দেখেছিলাম। সেবার ‘অয়েল শক’ ছিল স্ট্যাগফ্লেশনের কারণ। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলি আমেরিকাকে তেল বিক্রি বন্ধ করেছিল। কিন্তু আমাদের দেশে কী ‘শক’ হল, যাতে এ হাল হল অর্থনীতির।
অমিতবাবু বলেন, প্রথম শক নোট বাতিল প্রক্রিয়া। যার সম্ভাব্য কুপ্রভাব নিয়ে প্রথম থেকেই সরব হয়েছিলেন আমাদের মুখ্যমন্ত্রী। নোট বাতিলের আগে নরেন্দ্র মোদির জমানাতেই জিডিপি’র হার ছিল ৮.১ শতাংশ। এখন সেটা পাঁচের কম। এরপর দ্বিতীয় শক সাত মাসের মধ্যে অপরিকল্পিতভাবে তড়িঘড়ি জিএসটি চালু করা। ৩০০ কোটি ইনভয়েস প্রতিমাসে আপলোড করতে হয়। এর সঙ্গে যুক্তরা আমায় বলেছিলেন, এখনও পরিকাঠামো তৈরি হয়নি। একাজ সম্ভব হবে না। প্রয়াত অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিকে বলেছিলাম বিষয়টি। ফল কী হল! অর্থ দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর লিখিতভাবে সংসদে জানালেন, জিএসটি’তে ৪৪ হাজার কোটি টাকার জালিয়াতি হয়েছে। ডঃ মিত্রের কথায়, এটা শুধু কেন্দ্রের হিসেব। রাজ্যের হিসেবগুলি ধরলে জালিয়াতির পরিমাণ ১ লক্ষ কোটি টাকায় দাঁড়াবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, কয়লা, অপরিশোধিত তেল, সিমেন্ট, ইস্পাত, বিদ্যুৎ, পেট্রপণ্যের মতো আটটি গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরে দেশের বৃদ্ধির হার মাইনাস ৫.৮ শতাংশ। চিন্তা করা যায়! রপ্তানি এবং বিনিয়োগ ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। অমিতবাবুর অভিযোগ, ঠিক হয়েছিল, জিএসটি’র ক্ষেত্রে ১৪ শতাংশের কম আদায় হলে সংশ্লিষ্ট রাজ্যকে ক্ষতিপূরণ দেবে কেন্দ্র। আইন করে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে বিষয়টিতে। সাংবিধানিক অধিকার এটা। অথচ গত অক্টোবর থেকে বন্ধ করে রাখা হয়েছে সেই ক্ষতিপূরণের অর্থ দেওয়া। এছাড়াও আরও নানাখাতে প্রাপ্যের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। সেগুলো জানিয়েই প্রধানমন্ত্রীর কলকাতার সফরের সময় দাবিপত্র পেশ করে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী।