বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
শিক্ষাদপ্তর সূত্রে খবর, হাওড়ার জয়পুর কলেজের অধ্যক্ষ সৌমিত্রবাবু প্রায় দু’বছর এই পদে ছিলেন। তাঁর সময়কালে উচ্চ প্রাথমিক, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হয়। উচ্চ প্রাথমিক ছাড়া বাকিগুলিতে নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু তাতেও একের পর এক মামলায় বিদ্ধ হতে হয়েছে সরকারকে। পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণীর নিয়োগ নিয়ে আইনি জট অব্যাহত। ফলে সেই নিয়োগ এখনও সম্পন্ন হয়নি। তবে দপ্তরের কর্তাদের মতে, এই নিয়োগ নিয়ে যেভাবে মামলা হয়েছে, তাতে কিছুটা রুষ্ট হয়েছিল সরকার। চেয়ারম্যান ঠিকমতো তাঁর দায়িত্ব পালন করছিল না বলেও অভিযোগ এসেছিল। এমনকী কমিশনের উপদেষ্টার সঙ্গেও সমস্যা তৈরি হয়েছিল। যা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী পর্যন্ত জল গড়ায়। সম্প্রতি একটি বৈঠকে ডাকা হলেও, তিনি ছুটিতে থাকায়, তাতে যোগ দেননি। এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মন্ত্রী। এই ঘটনায় শোকজ পর্যন্ত করা হয়েছিল সৌমিত্রবাবুকে। ফলে তাঁর উপর সব মিলিয়ে একটা বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছিল। যার ফল স্বরূপ এদিন পদ খোয়াতে হল চেয়ারম্যানকে। এমনই মত শিক্ষামহলের। তবে এছাড়াও অন্য কোনও কারণ আছে কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। উল্লেখ্য, সুবীরেশ ভট্টাচার্য চলে যাওয়ার পর এই পদে কয়েক মাসের জন্য আনা হয়েছিল বেহালা কলেজের অধ্যক্ষা শর্মিলা মিত্রকে। তারপর প্রায় দু’বছর কাজ করার পর শেষ পর্যন্ত সরিয়ে দেওয়া হল সৌমিত্রবাবুকে।