বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
সরকারিস্তরেও প্রস্তুতি চূড়ান্ত। এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে মেলার তদারকির দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানান, মঙ্গলবার মধ্যরাতের পর থেকে অর্থাৎ রাত ১টা ২৪ মিনিট থেকে শুরু হবে শাহিস্নান। চলবে বুধবার মধ্যরাত পর্যন্ত। এখনও পর্যন্ত ৩১ লক্ষ পুণ্যার্থী স্নান করে ফিরে গিয়েছেন। বুধবার থেকে পুণ্যস্নান করবেন প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ। যে কোনওরকম দুর্ঘটনা এড়াতে পাঁচ হাজার পুলিসকর্মী, ১ হাজার ২০০ জন সিভিল ডিফেন্স স্বেচ্ছাসেবী এবং পাঁচ হাজার স্বেচ্ছাসেবী সাগরতটে সতর্ক পাহারা দিচ্ছেন। এছাড়া তৈরি থাকবে হেলিকপ্টার। উপর থেকে পাখির নজর রাখতে উড়বে একাধিক ড্রোন। পাশাপাশি, অসংখ্য স্পিডবোটও প্রস্তুত। সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির ছিলেন অরূপ বিশ্বাস, সুজিত বসু, মণীশ গুপ্ত এবং জেলাশাসক উলগানাথন। এদিন সকাল থেকেই গঙ্গাসাগরের চিত্রটাই বদলে গিয়েছে। কোথাও তিলধারণের জায়গা নেই। লক্ষ লক্ষ মানুষ এসেছেন। সবার জন্য অস্থায়ী শিবিরের বন্দোবস্ত করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু তাতে কী! বিশ্বাস এবং ভক্তি যেখানে সম্বল, সেখানে ঠান্ডা বা কুয়াশাকে থোড়াই কেয়ার। বিহার, ঝাড়খণ্ড, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, উৎকল থেকে বঙ্গ। গণদেবতার এই বিপুল আয়োজনে গঙ্গাসাগর এখন মিনি ভারত। কেউ রাস্তার পাশে কোনওরকমে ত্রিপল টানিয়ে খড় বিছিয়ে শুয়ে পড়েছেন। কারও সেটাও জোটেনি। বাড়ি থেকে আনা বিবর্ণ কম্বলটিই ভালো করে জড়িয়ে রাত্রি জাগরণের আয়োজন করছেন। বেশি সময় হাতে নেই।
মধ্যরাত থেকেই শুরু হবে স্নান। তাই বাকি রাতটুকু জেগেই কাটাবেন। আর যাঁরা মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষায় স্থির থাকতে পারছেন না। তাঁরা রাতেই সাগরের কালো জলে মাথা ভিজিয়ে নিচ্ছেন। বদ্রীনাথের বাসিন্দা শক্তিরানি ঝার বক্তব্য, ‘শুভক্ষণে খুব ভিড় হবে। তখন কী আর পারব? তাই এখনই ডুব দিয়ে নিলাম।’ যদিও প্রশাসন অতি উৎসাহীদের রাতে সাগরে নামতে নিষেধ করেছে। তাতেও খুব একটা রোখা সম্ভব হচ্ছে না। সন্ধ্যা থেকেই জলে নামতে শুরু করেছেন অনেক অত্যুৎসাহী। তাঁদের সঙ্গেই হাঁটু জলে নেমে পড়ছেন স্থানীয় পুরোহিতরা। মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে চলছে তর্পণ। এই উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যেই প্রস্তুত গঙ্গাসাগর। এখন মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষা।