বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
কেন এই উদ্যোগ? কারা দপ্তরের কর্তাদের কথায়, আসলে সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের অনেকের মধ্যেই প্রতিভা রয়েছে। কিন্তু তা বাইরে আসার সুযোগ নেই। যে কারণে সংশোধনাগারের মধ্যে গুনগুন করে সারা জীবন কাটিয়ে দিতে হয় অনেককেই। সুরেলা কণ্ঠ হলেও তা কেউ জানতেই পারেন না। সেই কারণেই তাঁদের প্রতিভার উন্মেষ ঘটাতে চায় কারা দপ্তর। যাতে ভবিষ্যতে এই আবাসিকরা সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসতে পারেন। কারা দপ্তরের এক আধিকারিকের কথায়, তাঁদের এই উদ্যোগ বন্দিদের মধ্যে উৎসাহ জোগাবে।
সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে থেকে প্রতিভা তুলে আনার চেষ্টা অনেকদিন ধরেই চালিয়ে আসছেন কারা দপ্তরের কর্তারা। জেলের নৃত্যনাট্যের দল এখন যথেষ্ট জনপ্রিয়। বিভিন্ন জায়গায় তারা শো করছে। সেখান থেকেই কর্তাদের মাথায় আসে, সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে থেকে সঙ্গীতের প্রতিভা খুঁজে বের করতে হবে। তার জন্য গানের প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয় চারটি সংশোধনাগারে। তাতে ৬০ জন সাজাপ্রাপ্ত আসামি অংশ নেন। একাধিক ধাপ পেরিয়ে ছ’জন প্রতিযোগী ফাইনালে ওঠেন। তাঁদের গান শুনে রীতিমতো মোহিত হয়ে যান কারা কর্তারা। গানের লড়াইয়ে এক ইঞ্চি জমি না ছাড়ার মানসিকতার প্রশংসা করেন আধিকারিকদের। বন্দিদের মধ্যে যে প্রতিভার অভাব নেই, তা কয়েকটি রাউন্ডের পরই বুঝে যান তাঁরা। এরপরই চিন্তাভাবনা শুরু হয় ব্যান্ডের দল গঠনের। যার প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে। যে ছ’জন ফাইনালে উঠেছিলেন, তাঁদের নিয়েই তৈরি হচ্ছে টিম। ধীরে ধীরে তাতে সদস্য সংখ্যা বাড়বে। ব্যান্ডের দলে ঢোকার জন্য নেওয়া হবে অডিশনও।
আর পাঁচটা বাংলা ব্যান্ডের মতো তাদের ব্যান্ডকে পেশাদার রূপ দিতে চায় কারা দপ্তর। সেই কারণেই সিদ্ধান্ত হয়েছে বাইরের বিভিন্ন ফাংশন বা স্টেজ শো’তে অংশ নেবে এই দল। এরজন্য নেওয়া হবে টাকাও। তবে সেই টাকার অঙ্ক অনেকটাই কম হবে বলে কারা দপ্তরের বক্তব্য। আসলে তাদের লক্ষ্য, সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের প্রতিভাকে সাধারণ মানুষের মধ্যে তুলে ধরা। যাতে তাঁরা আরও বেশি করে অনুষ্ঠানের ডাক পান। ভবিষ্যতে টিভি অনুষ্ঠানেও যাতে তাঁরা অংশ নিতে পারেন, সেই চিন্তাভাবনাও করা হচ্ছে। ব্যান্ডের দলকে তালিম দেওয়ার জন্য রাখা হবে প্রশিক্ষক। যাতে ভুলত্রুটি শুধরে নিতে পারেন ব্যান্ডের সদস্যরা। এমনকী তাঁদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য থাকবেন মেন্টর। দলের নাম কী হবে, তা নিয়ে চলছে আলোচনা। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, তা ঠিক করে এই টিমকে জনসমক্ষে নিয়ে আসতে চেষ্টা চালাচ্ছেন কারা দপ্তরের আধিকারিকরা।