নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সরকারি নির্দেশিকা অনুসারে ন্যাশনাল হেলথ মিশন প্রকল্পের সিনিয়র ট্রিটমেন্ট সুপারভাইজার পদে ২০১৫ সালে চাকরি পেয়েছিলেন মামুন সেখ সহ আরও পাঁচজন। অথচ, ২০১৮ সালে রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, এঁদের যোগ্যতা সঠিক নেই। ফলে চাকারি খতম। যা চ্যালেঞ্জ করে তাঁরা আলাদা মামলা ঠোকেন। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি প্রতীকপ্রকাশ বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার দুপুরে মামুনের মামলায় নির্দেশ দেন, এই প্রসঙ্গে নেওয়া যাবতীয় সরকারি সিদ্ধান্ত খারিজ করা হল। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তাঁদের পুনর্বহাল করতে হবে। তিন মাসের মধ্যে বকেয়া সব পাওনা মিটিয়ে দিতে হবে। কিন্তু, এদিনই বিকেলে রাজ্যের শীর্ষস্থানীয় আইনজীবী, অ্যাডভোকেট জেনারেল অন্য মামলাগুলির শুনানিতে হাজির হয়ে এই প্রসঙ্গে উপযুক্ত সওয়াল করার জন্য সময় চাইলে আদালত তা মঞ্জুর করে। সেই সঙ্গে তাঁর সওয়াল সূত্রেই আদালত জানায়, মামুন সম্পর্কে দুপুরে যে নির্দেশ তিনি দিয়েছেন, তা তিন সপ্তাহের জন্য কার্যকর হবে না।
মামুনের আইনজীবী সুনীতকুমার রায় আদালতকে জানান, ২০১৫ সালের ২৯ ডিসেম্বর এই পদে নিয়োগের জন্য যে নির্দেশিকা প্রকাশিত হয়, তাতে বলা ছিল, প্রার্থীর স্নাতক অথবা কোনও উপযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্যানিটরি ইন্সপেক্টর পোস্ট-এর যোগ্যতা থাকতে হবে। সেইমতো সবকিছু খতিয়ে দেখেই তাঁকে ভাঙড়ের জিরানগাছা এলাকায় নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু, ২০১৮ সালের ১৮ জুলাই তাঁকে আচমকাই কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়। তার জবাব দেওয়ার পর ১৭ আগস্ট তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। কিন্তু, সেখানে কোনও নির্দিষ্ট কারণ দর্শানো হয়নি।
রাজ্যের এমন পদক্ষেপ হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করা হলে এদিন তাঁর মামলার শুনানিতে অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল অভ্রতোষ মজুমদার আদালতকে জানান, যে দু’টি যোগ্যতা নির্দেশিকায় লেখা ছিল, তার মাঝখানে শুধু ‘অথবা’ নয়, ওটি হবে ‘এবং/অথবা’। অর্থাৎ, দু’টি যোগ্যতাই চাকরি পাওয়ার জন্য দরকারি। কিন্তু, যেহেতু, নির্দেশিকায় দু’টি আলাদা যোগ্যতার মাঝখানে ‘এবং’ শব্দটি নেই, তাই সরকারি সিদ্ধান্ত খারিজ করে আদালত উপরোক্ত নির্দেশ দেয়। যা পরে অ্যাডভোকেট জেনারেলের হস্তক্ষেপে আটকে গিয়েছে।