বিদ্যায় সাফল্য ও হতাশা দুই-ই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। মামলা-মোকদ্দমার কোনও পরিবেশ তৈরি ... বিশদ
খিদিরপুর এলাকার বাসিন্দা ডঃ সালেহা বেগম দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফকিরচাঁদ কলেজে আংশিক সময়ের শিক্ষিকা হিসেবে কাজ করছেন। ২০১৮ সালে কমিশনের জারি হওয়া নির্দেশিকা অনুসরণে ইতিহাসে সহকারী প্রফেসর পদের জন্য তিনি আবেদন করেন। ওই বছরের ২১ ডিসেম্বর হওয়া বাছাই পর্বে তিনি সফল হন। সেই সূত্রে এই বছরের ১৩ জুন ছিল সফল প্রার্থীদের কাউন্সেলিং। যথাসময়ে সেখানে হাজির হয়ে তিনি নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করেন। বঙ্গবাসী মর্নিং কলেজে যোগ দিতে চান বলে কমিশনকে লিখিতভাবে জানান। যোগ্যতা সংক্রান্ত যাবতীয় মূল নথি ও তার প্রতিলিপি পেশ করেন। কিন্তু, তাঁর কাছে চাওয়া হয় সাম্প্রতিক জাতিগত শংসাপত্র। যা অসম্ভব ও অযৌক্তিক মনে করে তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
ওই শিক্ষিকার আইনজীবী আশিস চৌধুরী আদালতকে জানান, কমিশন এই নিয়োগ সংক্রান্ত যে নির্দেশিকা জারি করেছিল, তার নবম ধারায় বলা আছে, যোগ্যতা সংক্রান্ত মূল নথি ও তার প্রতিলিপি প্রার্থীকে কাউন্সেলিং-এর সময় জমা করতে হবে। তিনি দাবি করেন, যদি কোনও নথি সম্পর্কে সন্দেহ দেখা দেয়, তা কমিশন ও তার নির্বাচক কমিটি নিজস্ব পদ্ধতিতে খতিয়ে দেখতে পারে। কিন্তু, কমিশন যে দাবি করেছে, তা কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তাছাড়া প্রার্থী যদি এখন নতুন করে জাতিগত শংসাপত্র জোগাড় করতে যান, ততদিনে কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে। ফলে স্থায়ী চাকরি পাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট হবে। তাছাড়া জাতিগত শংসাপত্র কোনও গুরুতর কারণ না ঘটলে ফের দেওয়া হয় না। তিনি এও জানান, কমিশনের চেয়ারম্যানকে মামলাকারী এই মর্মে আবেদন করেছিলেন যে, তাঁর জাতিগত শংসাপত্র যাচাই করে নিয়োগ করা হোক। কিন্তু, সেই আবেদনে কোনও সাড়া মেলেনি। উল্লেখ্য, ওবিসি-এ ক্যাটিগরিতে তিনি ইতিহাসের প্যানেলে চতুর্থ স্থানে আছেন।