উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের প্রেক্ষিতে বিজেপির উত্থান ঠেকিয়ে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলকে কীভাবে শক্তপোক্ত ভিতের উপর দাঁড় করানো যায়, এখন সেটাই আশু এজেন্ডা বলে মনে করছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের এক শীর্ষনেতার কথায়, আমাদের বিরুদ্ধে ধর্মীয় তোষণের অভিযোগ তুলে লাগাতার প্রচার চালিয়েছে গেরুয়া শিবির। কিন্তু তার মোকাবিলায় নেত্রী একা আসরে নামলেও, দলের তরফে বিশ্বাসযোগ্য দ্বিতীয় কোনও মুখকে উপস্থাপন করা যায়নি। এরই পাশাপাশি দলের একটা অংশ উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি খোদ কলকাতায় রাসবিহারী, ভবানীপুর, জোড়াসাঁকো, কসবার মতো কয়েকটি এলাকায় বিজেপির হাতে ‘তামাক’ খেয়ে কার্যত অন্তর্ঘাত চালিয়েছে। ই এম বাইপাস লাগোয়া কয়েকটি ওয়ার্ডে ভোটের দিনও জোড়াফুলের বদলে সিঙ্গল ফুলে বোতাম টেপার জন্য প্রচার করা হয়েছে।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোট গণনায় ট্রেন্ড স্পষ্ট হওয়ার পর জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, বালুরঘাট, রায়গঞ্জ, ঝাড়গ্রাম, রানাঘাট, বনগাঁ, বারাকপুরের মতো কেন্দ্রগুলিতে বিজেপির বিজয়পর্বে মেতে উঠতে এমন বেশ কয়েকজনকে দেখা গিয়েছে, যাঁরা তৃণমূলের বিভিন্ন ক্ষেত্রের পদাধিকারী। দলকে সামনে রেখেই এতদিন ‘হম্বিতম্বি’ চালাতেন তাঁরাই। তাঁদের বিরুদ্ধে ঠিক কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তা কালীঘাটের বৈঠকেই জানা যাবে বলে ওই সূত্রটি মনে করছে। তৃণমূলের ওই শীর্ষকর্তার কথায়, দলের একটা বড় অংশ এখন জল মাপছে। অবস্থা বুঝে ঝাঁপ দেবে। এরকম লোকজন যত দ্রুত বের হয়ে যায়, ততই ভালো। তাঁর কথায়, লোকসভা ভোটে মাত্র একটা আসন পেয়ে খাদের কিনারায় চলে যাওয়া দলকে ফের খাড়া করিয়েছিলেন নেত্রী। এবারও তিনি তা পারবেন বলেই সবার বিশ্বাস। কালীঘাটের বৈঠকে তা নিয়েও নেত্রী পথপ্রদর্শন করবেন বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।
তৃণমূল সূত্রের খবর, ২০১৪’র লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় এবার দলের ভোট বাড়লেও, ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ভোট প্রাপ্তির তুলনায় তা দুই শতাংশ কমেছে। ঠিক কী কারণে তা কমল, তা নিয়েও আলোচনা হবে বৈঠকে।