একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
শ্রীরামপুরের বিদায়ী সাংসদ তথা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর চোখাচোখা কথার জন্য ‘জনপ্রিয়’। সেই কল্যাণবাবুই এদিন বৈদ্যবাটিতে কর্মীদের নিয়ে গান করেছেন। প্রার্থী তথা নেতার মুড বদল দেখে বিস্মিত হয়েছেন কর্মীরাও। অবশ্য তাতে প্রচারে যে বাড়তি রং জুড়েছে, মানছে ঘাসফুল শিবির। এদিন কল্যাণবাবু বৈদ্যবাটির শ্রমিক মহল্লায় প্রচারে গিয়েছিলেন। সেখানেই প্রচারের ফাঁকে তিনি ‘উই শ্যাল ওভারকাম’ থেকে রবীন্দ্রগানে গলা সেধেছেন। কল্যাণবাবু বলেন, ‘মানুষ ভরসা জোগাচ্ছেন। তাই মানুষের গান গাইছি’। বিজেপি প্রার্থী কবীরশঙ্কর বসু এদিন উত্তরপাড়া, কোন্নগরে প্রচার করেন। তাঁর প্রচারে নিয়মিত চায়ে পে চর্চা থাকে। এদিনও তা ছিল। সেইসঙ্গে পথসভা থেকে রোড শো, পদযাত্রায় তিনি প্রচার সেরেছেন। পাশাপাশি, প্রতিপক্ষের গান গেয়ে প্রচার নিয়ে কটাক্ষও জুড়েছেন। তিনি বলেন, নাচ-গান-মিমিক্রি, এসবই তো তিনি করেন। আর যা করার জন্য তাঁকে মানুষ ভোট দেন, সেটাই তিনি করেন না। রাতে শ্রীরামপুর লোকসভার জাঙ্গিপাড়ায় পথসভার মধ্যে দিয়ে প্রচার করেন দীপ্সিতা ধর। বামেদের তরুণতুর্কি প্রার্থী বলেন, শুনেছি উনি ‘উই শ্যাল ওভারকাম’ গেয়েছেন। উনি আসলে বুঝতে পেরেছেন, বামেদের কারণে চাপ বেড়েছে।
হুগলিতেও জমজমাট প্রচার করেছেন বিজেপির প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। এদিন তিনি চুঁচুড়া থেকে সাহাগঞ্জের ডানলপ মোড় পর্যন্ত রোড শো করেন। বর্ণময় শোভাযাত্রা ও বিরাট কর্মীবহর নিয়ে তাঁর প্রচার নজর কেড়েছে। বিশেষ করে বুধবার ডানলপ কারখানা নিয়ে বিজেপিকে বিঁধেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর ডানলপ এলাকাতেই লকেটের এই প্রচার রাজনৈতিক বার্তাবহ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এদিন সরাসরি প্রচারে ছিলেন না তৃণমূলের হুগলি লোকসভার তারকা প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা প্রতিটি বিধানসভা এলাকায় প্রচার করেছেন। সিপিএমের হুগলির প্রার্থী মনোদীপ ঘোষও সাংগঠনিক কর্মসূচির মাধ্যমে প্রচার সারেন।