একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
কয়েকদিন আগে সন্দেশখালির মল্লিকপাড়ায় শাহজাহান ঘনিষ্ঠের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় আগ্নেয়াস্ত্র। সিবিআইয়ের দাবি, তার মধ্যে তিনটি বিদেশি আর্মসও রয়েছে। তদন্তকারীরা জেনেছেন, শাহজাহান ওইসব আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স করিয়েছেন নাগাল্যান্ড থেকে। এই বিষয়ে ডিমাপুরের পুলিস কমিশনারেটের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তাঁরা। নাগাল্যান্ড পুলিস জানিয়েছে, ডিমাপুরের ঠিকানায় একটি দেশি ও দু’টি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ইস্যু করা হয় ২০১৬-১৭ সালে। একইসঙ্গে সন্দেশখালির স্থায়ী ঠিকানারও উল্লেখ করা ছিল। সেটি দেখিয়ে দু’টি বিদেশি ও একটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র কেনেন শাহজাহান। সিবিআইয়ের কাছে আসা তথ্য অনুযায়ী ‘ভাই’য়ের কাছে দেশীয় রাইফেল ছাড়াও, জার্মানির মউস কোম্পানির .৩২ বোরের পিস্তল ও আমেরিকার স্মিথ ও ওয়েসন কোম্পানির .৩২ বোরের রিভালভার রয়েছে। আগ্নেয়াস্ত্রের নম্বরও উল্লেখ করা হয়েছে লাইসেন্সের কপিতে।
এখান থেকেই আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের তদন্ত অন্যদিকে মোড় নিয়েছে। সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা জেনেছেন, ডিমাপুরের যে ঠিকানা শাহজাহানের তরফে দেওয়া হয় সেটি ‘ভুয়ো’। ওইসঙ্গে ‘এরিয়া ভ্যালিডিটি’ হিসেবে ‘অল ইন্ডিয়া’ লেখা থাকায় তাঁদের সন্দেহ তৈরি হয়েছে। কারণ আর্মসের লাইসেন্স যে-রাজ্য থেকে ইস্যু করা হয়, সেটি ব্যবহারও করা যায় সেখানে। লাইসেন্স হাতে পাওয়ার পর শাহজাহান ‘জালিয়াতি’ করে নির্দিষ্ট রাজ্যের নাম তুলে দিয়ে ‘অল ইন্ডিয়া’ করে নেন বলে জেনেছেন তদন্তকারীরা।
সিবিআই সূত্র জানাচ্ছে, বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র কেনার ক্ষেত্রে অনেক নিয়ম রয়েছে। প্রথমত, যাঁর নামে ইস্যু হচ্ছে তাঁর উপর কী ধরনের হুমকি রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হয়। সেই অনুযায়ী, অনুমতি দেওয়া হয় কী ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র একজন ভারতীয় নাগরিক রাখতে পারবেন। তদন্তকারীরা জেনেছেন, এক দালালকে ধরে এই লাইসেন্স বার করেন শাহজাহান। সেই দালাল কেসটা এমনভাবে ম্যানেজ করেছিল যে শাহজাহানের ক্ষেত্রে কোনও কিছুই যাচাই করা হয়নি! আরও গুরুতর প্রশ্ন, শাহজাহান একসঙ্গে তিনটি আর্মসের লাইসেন্স পেলেন কোন জাদুতে? ডিমাপুরের সরকারি অফিসারদের কেউ এই ঘটনায় জড়িত থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না সিবিআই। শাহজাহানের ওই আগ্নেয়াস্ত্র তিনটি কোথায় রয়েছে, সেটিও জানার চেষ্টায় রয়েছেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির অফিসাররা।