কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
২০১১ এর বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে ১৮ হাজারের বেশি ভোটে জিতেছিলেন নির্মল মাজি। যদিও ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সেটা কমে দাঁড়ায় ১৪ হাজারে। এরপর, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই কেন্দ্রের ৫টি গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে চলে যায়। তার প্রভাবও পড়ে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে। সেবার এখান থেকে মাত্র ১৩ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিল তৃণমূল। যদিও ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের জয়ের ব্যবধান হয় ২১ হাজার। এরপর ২০২৩-এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই কেন্দ্রে বিজেপির দখলে থাকা সব ক’টি গ্রাম পঞ্চায়েত তাদের হাতছাড়া হয়। যদিও তেহট্ট কাঁটাবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের হাত থেকে ছিনিয়ে নেয় আইএসএফ এবং বাম-কংগ্রেস জোট।
তবে এই কেন্দ্রে বিজেপি কোনও পঞ্চায়েত দখল করতে না পারলেও এখানে বিজেপির অবস্থান যথেষ্টই শক্ত। তাই এবারে প্রথম থেকেই তৃণমূল এই কেন্দ্রটিকে পাখির চোখ করেছে। উলুবেড়িয়া উত্তর কেন্দ্রে যথেষ্ট উন্নয়নও হয়েছে। আমতা গ্রামীণ হাসপাতালকে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে উন্নীত করা হয়েছে। আমতা অডিটোরিয়াম সংস্কার করা হয়েছে। এখানকার শাটল কক শিল্প পুনরুজ্জীবনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও রাস্তাঘাট থেকে পানীয় জল, এমনকী রাজ্য সরকারের একাধিক উন্নয়ন প্রকল্প তৃণমূল প্রার্থীকেই এগিয়ে রাখছে। তবে গোষ্ঠীকোন্দল চিন্তায় রেখেছে শাসকদলকে। যদিও গোষ্ঠীকোন্দলের কথা মানতে চাননি উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচনী কমিটির চেয়ারম্যান, রাজ্যের মন্ত্রী পুলক রায়। তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নকে দেখে মানুষ ভোট দেবে। উলুবেড়িয়া উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রেও তার ব্যতিক্রম হবে না। যদিও বিজেপির হাওড়া গ্রামীণ জেলার সহ সভাপতি রমেশ সাঁধুখা জানান, সন্ত্রাসের কারণে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী জিততে পারেননি। এবারে উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রের ৭টি বিধানসভার মধ্যে উলুবেড়িয়া উত্তর থেকেই বিজেপি প্রার্থী সবথেকে বেশি
লিড পাবেন।