শারীরিক কারণে কর্মে বাধা দেখা দেবে। সন্তানরা আপনার কথা মেনে না চলায় মন ভারাক্রান্ত হবে। ... বিশদ
টালিনালাকে দূষণমুক্ত করতে এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। টালিনালা সংলগ্ন অংশে যে বস্তি রয়েছে, সেখানকার বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেই কাজে হাত দেওয়ার কথা। ন্যাশনাল রিভার গঙ্গা মিশনের আওতায় হবে এই প্রকল্প। আনুমানিক খরচ প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। এই প্রকল্পে বানানো হবে তিনটি বিপুল ক্ষমতা সম্পন্ন স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (এসটিপি)। গল্ফগ্রিনের শুখাপুকুর, কুঁদঘাটের পুলিস টেলিকম পার্ক এবং গড়িয়া মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন বৃজি রোডে এই এসটিপি তৈরি হবে। দক্ষিণ কলকাতার বড় অংশের নিকাশিনালার জল যা প্রতিনিয়ত সরাসরি টালিনালায় এসে পড়ে, তা এসটিপি হয়ে টালিনালায় ফেলা হবে। একইসঙ্গে ১৬টি পাম্পিং স্টেশনকেও আরও আধুনিক করা হবে। যাতে এগুলির ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এর ফলে আগামী ১৫-২০ বছর দক্ষিণ কলকাতার নিকাশি নিয়ে আর ভাবতে হবে না বাসিন্দাদের। জানা গিয়েছে, বিভিন্ন পাম্পিং স্টেশন থেকে এসটিপি এবং এসটিপি থেকে টালিনালা পর্যন্ত নতুন করে প্রায় ১১৪ কিলোমিটার পাইপলাইন বসাতে হবে। দইঘাট থেকে গড়িয়া মেট্রো স্টেশন পর্যন্ত টালিনালার ১৫.৫ কিলোমিটার সংস্কার করা হবে। ফলে শহরের নিকাশি জল পরিশোধিত হয়ে টালিনালা এসে পড়বে। কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নির্দেশিকা মেনে জল পরিশোধন হবে। থাকবে অনলাইন মনিটরিং সিস্টেম। যাতে প্রতি মুহূর্তে কোন এসটিপি দিয়ে কত জল যাচ্ছে, দূষণের পরিমাণ কত, পরিশোধনের পর সেই জলের মান কী, সবটাই অনলাইনে পর্যবেক্ষণ করা যাবে।
২০১৭ সালে এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল। তারপর বেশ কয়েকবার টেন্ডার ডেকেও সাড়া মেলেনি। এছাড়াও নানা প্রশাসনিক জটিলতা ছিল। পরবর্তীকালে সেই জটিলতা কাটিয়ে শেষমেশ গত বছর ডিসেম্বরে সাড়া মেলে টেন্ডারে। মাত্র একটি সংস্থা টেন্ডারে অংশ নিয়েছে বলে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে। এই কাজের কোনও অভিজ্ঞতা সেই সংস্থার রয়েছে কি না, তা যাচাই করে দেখা হচ্ছে। অনুমোদনের জন্য ন্যাশনাল রিভার গঙ্গা মিশন কর্তৃপক্ষের কাছে এটি পাঠানো হয়েছে। এক কর্তা বলেন, দিল্লি থেকে অনুমোদন আসে গেলেই কাজ শুরু হবে। যেহেতু এটি আগেই পাশ হয়ে গিয়েছে, তাই নির্বাচনের দিন ঘোষণা হলেও কাজ শুরু করতে অসুবিধা হবে না। গোটা প্রকল্প আড়াই বছরের মধ্যে ধাপে ধাপে শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত তথা কলকাতা পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘টালিনালা সংলগ্ন বস্তির বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা হচ্ছে। প্রাথমিক কিছু সমস্যা রয়েছে, সেসব কাটিয়ে এগতে পারলেই ভালো।’
২০১৭ সালে যখন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল, তখন ৩০৭ কোটি টাকার বাজেট ধরা হয়েছিল। সাড়ে তিন বছর পর সেই খরচ আরও প্রায় ১০০ কোটি বাড়তে পারে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।