শারীরিক কারণে কর্মে বাধা দেখা দেবে। সন্তানরা আপনার কথা মেনে না চলায় মন ভারাক্রান্ত হবে। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে বারাসত পুরসভায় আসেন চিরঞ্জিতবাবু। এদিন পুরসভায় সব বিদায়ী কাউন্সিলার ও বিভিন্ন শাখা সংগঠনের নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন। চিরঞ্জিতবাবু সকলের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। পরে সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, খুব দ্রুত প্রচার শুরু করব। আমার প্রচারের মূল হাতিয়ার উন্নয়ন। গত ১০ বছরে এলাকা উন্নয়নের কাজে ফাঁকি দিইনি। আমি আশাবাদী গত দু’বারের মতো বারাসতের মানুষের এবার আমাকে আশীর্বাদ করবেন।
তবে প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পর কি ভাবে প্রাক্তন বিধায়ক পুরসভায় বসে দলের নেতা কর্মীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষ্যাৎ করে ভোটের বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন? কি ভাবে তিনি পুরসভায় বসে ভোট জেতার কথা বলতে পারেন? এই প্রশ্নে সরব হয়েছেন বাম ও বিজেপি দু’পক্ষই। বারাসত সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি শঙ্কর চট্টোপাধ্যায় বলেন, বিধায়ক নিশ্চিতভাবে নির্বাচনী বিধি সম্পর্কে অবহিত। তাসত্ত্বেও তিনি পরিকল্পনামাফিক বারাসত পুরসভায় বসে দলীয় কর্মসূচি করেছেন। তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে সাংবাদিক সম্মেলনও করেছেন। এতদিন বারাসতের মানুষ কেমন আছেন, তার খোঁজ তিনি নেননি! ভোট ঘোষণার মানুষের ট্যাক্সের টাকায় চলা পুরসভায় বসে দলীয় কর্মসূচি করছেন! এটা নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ হয়েছে। এরথেকে লজ্জার ঘটনা আর কী হতে পারে! আমরা কমিশনে অভিযোগ জানাব। ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা সম্পাদক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় বলেন, এই ধরণের ঘটনা তৃণমূলের রাজনৈতিক দেউলিয়াপনাকে প্রকাশ্যে এনেছে। বারাসতের বিবেচক মানুষ সমস্ত কিছু বিচার করছেন। এই বিষয়ে চিরঞ্জিতবাবু বলেন, দল আমাকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। কিন্তু আমি এখনও দলের হয়ে এখনও মনোনয়নপত্র জমা দিইনি। বিরোধীদের অভিযোগ তাই খাটছেনা।