ব্যবসাসূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন থাকা ... বিশদ
কয়েকদিন আগে পূর্ব যাদবপুর এলাকা থেকে হেরোইন সহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করে এসটিএফ। তাকে জেরা করে জানা যায়, কলকাতায় ফুলে উঠেছে মাদকের কারবার। হেরোইন, ব্রাউন সুগারের মতো নিষিদ্ধ মাদক আসছে ভিনরাজ্য থেকে। তদন্তে উঠে আসে, উত্তর-পূর্ব ভারত ও উত্তরপ্রদেশ থেকেই আনা হয় এই মাদক। আন্তঃরাজ্য চক্র এই কারবারে যুক্ত। সেই সূত্র থেকেই এসটিএফের অফিসাররা জানতে পারেন, উত্তরপ্রদেশ থেকে জুবের ও মণিপুর থেকে মৌলানা ফয়জুদ্দিন কলকাতায় আসছে। তারা পাইকপাড়া এলাকায় যাবে। সেখানে হাতবদল হবে মাদকের। সেইমতো এসটিএফের একটি টিম সোমবার ওই এলাকায় পৌঁছে যায়। সেখানে জুবের ও ফয়জুদ্দিন আসামাত্রই তাদের আটক করে তল্লাশি শুরু হয়। উদ্ধার হয় ২৫ কেজি হেরোইন। আন্তর্জাতিক বাজারে যার মূল্য প্রায় ১০০ কোটি টাকারও বেশি।
তদন্তে জানা গিয়েছে, জুবের উত্তরপ্রদেশে হকারের কাজ করত। সেখানকার এক ড্রাগ কেরিয়ারের মাধ্যমে মাফিয়া চক্রের চাঁইয়ের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় মাদক পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয় তাকে। জানা যাচ্ছে, সে উত্তরপ্রদেশ থেকে মাদক নিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতে গিয়েছে। আবার সেখান থেকেও মাদক সংগ্রহ করে ফিরে গিয়েছে নিজের রাজ্যে। এই কেরিয়ারের কাজ করতে গিয়েই তার সঙ্গে পরিচয় হয় মণিপুরের বাসিন্দা ফয়জুদ্দিনের। সম্প্রতি তারা কলকাতায় মাদক নিয়ে আসা শুরু করেছিল। কারণ এখানে নিষিদ্ধ মাদকের ভালো বাজার তৈরি হয়েছে। চাহিদা বাড়ছে দিনের পর দিন। ফয়জুদ্দিন জেরায় পুলিসকে জানিয়েছে, মূলত সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ড থেকে মায়ানমার হয়ে চোরাপথে এই মাদক আসছে উত্তর-পূর্ব ভারতে। বিভিন্ন সামগ্রীর প্যাকেটে তা ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই মাদকের গুণগত মান নাকি ভালো। এর সঙ্গে এখানকার মাদক মেশানো হচ্ছে। তা দিয়ে নতুন ধরনের মাদক তৈরি করা হচ্ছে। অনেক সময় বিদেশি মাদক বিভিন্ন পার্টিতে সরবরাহ করা হয়। উদ্ধার হওয়া মাদক জুবের ও ফয়জুদ্দিনের মধ্যে হাতবদল হওয়ার কথা ছিল। এসটিএফের অফিসাররা জানতে পেরেছেন, তাদের ছোট ছোট একাধিক এজেন্ট রয়েছে শহরে। যাদের মাধ্যমে মাদক বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছে। তাদের খোঁজ শুরু হয়েছে।