বিদ্যায় সাফল্য ও হতাশা দুই-ই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। মামলা-মোকদ্দমার কোনও পরিবেশ তৈরি ... বিশদ
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, গোটা দেশের একাধিক শহরে দূষণের মাত্রা উদ্বেগজনক অবস্থায় পৌঁছেছে। কারণ অনুসন্ধান করে দেখা যাচ্ছে, যানবাহনের ধোঁয়া বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেকাংশেই দায়ী। সেই জায়গা থেকেই উন্নত মানের যানবাহন চালুতে সচেষ্ট কেন্দ্র। পরিবেশবান্ধব যান নিয়ে বর্তমানে কেন্দ্রীয় তৎপরতা তুঙ্গে উঠেছে। এ রাজ্য সহ বিভিন্ন রাজ্যে নামছে ইলেকট্রিক বাস। তার জন্য পরিকাঠামোও ঢেলে সাজছে। সেই সূত্রেই নয়া উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে খবর।
কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের এক কর্তার কথায়, মূলত পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাতেই ইলেকট্রিক ভেহিকেল বা ব্যাটারি চালিত গাড়িকে জনপ্রিয় করার চেষ্টা চলছে। যেসব পরামর্শ, মতামত এক মাসের মধ্যে পাওয়া যাবে, তা বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখা হবে। তারপরই চূড়ান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করে দেওয়া হবে।
কেন্দ্রের এই উদ্যোগ নিয়ে কী বলছেন রজ্যের বেসরকারি বাস মালিকরা? অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, আগামী সপ্তাহেই আমরা আমাদের মতামত অনলাইনে জানিয়ে দেব। এই ধরনের যানবাহন পরিবেশবান্ধব। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হোক, তা আমরাও চাই। কেন্দ্রের উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছি। কিন্তু, ইলেকট্রিক বাসের দাম সাধারণ বাসের চেয়ে অনেক বেশি। তাই আমরা চাইছি, এই ধরনের যানবাহনে ভর্তুকি দেওয়া হোক। তাহলে অনেকেই উৎসাহী হবেন। তবে, ইলেকট্রিক বাসের রক্ষণাবেক্ষণের খরচ এবং বাস চালানোর খরচ তুলনামূলকভাবে কম। তবে, এই ধরনের যানবাহন চালানোর জন্য চার্জিং সেন্টার সহ কিছু পরিকাঠামো তৈরি জরুরি। সেই কাজে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে।
জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, প্রথম কথা হল, ইলেকট্রিক বাসের যা দাম, তাতে আমাদের পোষাবে না। সাধারণ বাস কেনার কিস্তির টাকাই অনেকে শোধ করতে পারেন না। আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট, এই ধরনের বাসের জন্য পৃথক ভাড়ার তালিকা তৈরি করা দরকার। তাতে কিছুটা সুরাহা হতে পারে। তা না হলে বেসরকারি মালিকরা উৎসাহী হবেন না। মিনিবাস অপারেটর্স কো-অর্ডিনেশন কমিটির যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপনারায়ণ বোস বলেন, আসল কথা হল ভাড়ার তালিকা। ইলেকট্রিক বাসের যা দাম, সেই মতো ভাড়ার কাঠামো তৈরি জরুরি। তাতে মালিকরা উৎসাহ পেতে পারেন।