কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ
গোটা শহর ইতিমধ্যেই ঢেকে গিয়েছে শিল্প সম্মেলনের প্রচারে। হোর্ডিংয়ে, তোরণে সর্বত্রই বিনিয়োগের বার্তা নিয়ে উপস্থিত রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশ-বিদেশে আমন্ত্রণ পর্ব সারা। শহরে একে একে এসে পৌঁছনোর কথা অতিথিদের। কোন কোন শিল্পপতি বা শিল্প কর্তা এবারের সম্মেলনে হাজির হবেন, তা নিয়েও চর্চার অন্ত নেই। কার ঝুলিতে কত টাকার লগ্নি প্রস্তাব থাকবে, তা নিয়েও জল্পনা রয়েছে অন্যান্য বছরের মতোই। যেহেতু শিল্প দপ্তর এই বিষয়ে আগবাড়িয়ে কিছু বলতে রাজি নয়, সেই কারণেই এনিয়ে কৌতূহল বেড়েছে। সঙ্গে রয়েছে আমন্ত্রণপত্র বা কার্ডের চাহিদাও। এ রাজ্যের ছোট, মাঝারি উদ্যোগপতিরা অন্যান্যবার যেভাবে আমন্ত্রণ পেয়ে থাকেন, এবার তেমন কিছু হবে না বলেই জানিয়েছিল শিল্প দপ্তর। তাঁদের বক্তব্য, অন্যান্যবার শিল্প সংগঠন বা বণিকসভার মাধ্যমে উদ্যোগপতিদের একটা বড় অংশকে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হতো। শিল্পমহলের দাবি, এবার শিল্পোন্নয়ন নিগমের তরফে তাঁদের জানানো হয়েছে, ডাকযোগে ব্যক্তিগতভাবে আমন্ত্রণপত্র পাবে উদ্যোগপতিদের একটা বড় অংশ। ফলে অনেকেই নিমন্ত্রণ না পাওয়ার আশঙ্কায় ভুগছেন। তবে, মঙ্গলবার ছোট-বড় বেশ কিছু শিল্পপতির কাছে কার্ড পৌঁছে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রতিবারই মুখ্যমন্ত্রী দেড় দিনের এই সম্মেলনে দিনভর হাজির থেকে শিল্পপতিদের বিনিয়োগ বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি আপ্যায়নও করেন নিপুণ হাতে। অন্যান্যবার সম্মেলনের আগের রাতে শিল্পপতি ও অতিথিদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী ডিনার বা নৈশভোজেরও আয়োজন করেন। এ বছরেও অন্যান্যবারের মতো নিখুঁতভাবে শিল্প সম্মেলনের তোড়জোড় করেছে শিল্প দপ্তর। রাত পোহালেই আরও একটি ঝকঝকে বাণিজ্য সম্মেলনের প্রতিক্ষায় থাকবে বাংলা।