পারিবারিক ক্ষেত্রে কলহের আশঙ্কা। ঠান্ডা মাথায় চলুন। বিজ্ঞানী, ব্যবসায়ী, সাহিত্যিকদের শুভ সময়। ... বিশদ
ইতালিয়ান ফুটবল মানেই মাথায় আসে ‘কাতানেচ্চিও’। লকগেট ফেলে প্রতিআক্রমণে বিপক্ষের জাল কাঁপানোর কৌশল নীল জার্সিধারীরাই শিখিয়েছিল। তবে এখন আর পাওলো মালদিনি, ফ্র্যাঙ্কো বারেসি বা ফ্যাবিও কানাভারোর যুগ নেই। বরং সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ইউরোপিয়ান ফুটবলে গা ভাসিয়েছে আজ্জুরিরা। ‘কাতানেচ্চিও’র দূরে সরিয়ে বেছে নিয়েছে আক্রমণাত্মক ফুটবল। এই মন্ত্রেই ২০২১ সালে ইতালিকে ইউরো জিতিয়েছিলেন রবার্তো মানচিনি। জার্মানিতে এবারের মেগা আসরেও খেতাব ধরে রাখার লক্ষ্যে নতুন কোচ লুসিয়ানো স্পালেত্তিও সেই পথে হাঁটতে প্রস্তুত। শনিবার প্রথম ম্যাচেই তার প্রমাণ মিলল। আলবেনিয়ার ২৩ সেকেন্ডের গোলের ধাক্কা সামলে ২-১ ব্যবধানে জিতে ইউরো অভিযান শুরু করলেন চিয়েসা, জর্জিনহোরা।
কোচিং কেরিয়ারের সিংহভাগ সময় ইতালির ক্লাবগুলিতে কাটিয়েছেন লুসিয়ানো স্পালেত্তি। জাতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়ার আগে যথাক্রমে নাপোলি, ইন্তার মিলান ও এস রোমার হেড কোচের পদে ছিলেন তিনি। দলের সিংহভাগ ফুটবলারই তাঁর চোখের সামনে বেড়ে উঠেছেন। তাই দায়িত্ব নেওয়ার পর খুব কম সময়ে পুরো টিমকে একসুতোয় বেঁধে ফেলতে অসুবিধা হয়নি অভিজ্ঞ কোচের। শনিবার আলবেনিয়ার বিরুদ্ধে ৪-৩-৩ ফর্মেশনে দল সাজিয়েছিলেন তিনি। তবে খেলা শুরুর বাঁশি বাজামাত্রই আচমকা পা হড়কায় ইতালি। ডিমার্কোর ভুল থ্রোয়ের সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইউরো ইতিহাসের দ্রুততম গোল করেন নেদিম বজরামি। ম্যাচের বয়স তখন ২৩ সেকেন্ড। গ্যালারিতে থাকা ৫০ হাজার আলবেনিয়ান সমর্থকের গর্জনে কেঁপে ওঠে ডর্টমুন্ডের সিগন্যাল আইডুনা পার্ক। এমন পরিস্থিতিতে অনেক দলই খেই হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায়। তবে অভিজ্ঞ ইতালি বুঝিয়ে দিল চাপ সামলে লক্ষ্যপূরণের ক্ষমতায় বরাবরই তারা স্পেশাল। ১১ মিনিটেই সমতায় ফেরে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। কর্নার থেকে ডিমার্কোর ছোট পাস ধরে ক্রস বাড়ান পেলেগ্রিনি। তাতে মাথা ছুঁইয়ে লক্ষ্যভেদে ভুল হয়নি অরক্ষিত বাস্তোনির। এই প্রসঙ্গে কোচ স্পালেত্তি বলছিলেন, ‘কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমরা গোল হজম করেছিলাম। তবে ছেলেদের পাল্টা লড়াইয়ে আমি মুগ্ধ।’
প্রথমার্ধে একচ্ছত্র দাপট ছিল ইতালির। মাঝমাঠে ডায়মন্ড শেপে আক্রমণ শানাচ্ছিলেন বারেল্লা, জর্জিনহো, পেলেগ্রিনিরা। তারই ফসল ১৬ মিনিটে বারেল্লার জয়সূচক গোল। প্রায় ১৮ গজ থেকে দূরপাল্লার শটে জাল কাঁপান তরুণ মিডিও। ম্যাচের বাকি সময়েও ছিল ইতালির একচেটিয়া আধিপত্য। প্রাপ্ত সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে আরও বড় ব্যবধানে জিততে পারত তারা। তবে ম্যাচটি জিতলেও স্পালেত্তি-ব্রিগেডের রক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন থেকেই গেল। আলবেনিয়া অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রতিপক্ষ বলেই বড়লোকের বখাটে ছেলের মতো ভুল করে পার পেয়ে গেলেন ডিমার্কো। গ্রুপ অব ডেথে ইতালির সঙ্গে রয়েছে স্পেন ও ক্রোয়েশিয়া। তারা কিন্তু ছেড়ে কথা বলবে না। তবুও বলতে হবে, কাতার বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ ইতালির প্রথম ম্যাচে জয় সমর্থকদের আশাবাদী করবে।