বিদ্যার্থীদের অধিক পরিশ্রম করতে হবে। অন্যথায় পরীক্ষার ফল ভালো হবে না। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ভালো ... বিশদ
আই লিগের টেবলে ইস্ট বেঙ্গল ও মোহন বাগান যথাক্রমে ছয় ও আট নম্বরে অবস্থান করছে। খেতাবের আশা একেবারেই দেখছেন না সাতের দশকের ডাকাবুকো মিডফিল্ডার গৌতম সরকার। দ্ব্যর্থহীন ভাষায় তিনি বললেন, ‘মজিদ, এমেকা, চিমাকে মনে রেখেই বলছি বর্তমানে এমন অপদার্থ বিদেশি ফুটবলারদের কোথা থেকে নিয়ে এল দুই প্রধান! বাঙালি ফুটবলার তুলে আনতে না পারলে ইস্ট বেঙ্গল-মোহন বাগানের হাল ফিরবে না। সেই প্রতিভাবান ফুটবলার তুলে আনার চোখ কোথায় এখন? খুবই খারাপ লাগে এই ছন্নছাড়া দশা দেখলে।’ বিদেশি কোচেরা দুই প্রধানের হাল ফেরাতে পারবেন? গৌতম সরকারের সাফ কথা, ‘কেন বিদেশি কোচেরা কি ভিন গ্রহের জীব? যাদের স্পর্শে সবকিছু বদলে যাবে। স্বদেশি কোচের প্রশিক্ষণে ক্লাবগুলোর সাফল্য অস্বীকার করার জায়গা নেই।’
মজিদের সঙ্গে খেলেছেন জামশিদ নাসিরি। প্রাক্তন এই ইরানি স্ট্রাইকারের ছেলে কিয়ান নাসিরি এবার মোহন বাগান স্কোয়াডে রয়েছেন। কিয়ান সুযোগ পাচ্ছেন না। জামশিদের গলায় সেই এক সুর, ‘অতিরিক্ত বিদেশি নির্ভর হয়ে পড়ছে কলকাতার দুই বড় ক্লাব। স্থানীয় ফুটবলারদের পাদপ্রদীপের আলোয় তুলে আনার কোনও অভিপ্রায় নেই কোচ বা কর্তাদের। আমাদের সময়ে বিদেশিদের পাশাপাশি ভালো মানের বাঙালি ফুটবলার ছিল। ফলে দারুণ ভারসাম্য তৈরি হত। আর সত্যি বলতে কী, দুই প্রধানে স্প্যানিশ ব্রিগেড কার বুদ্ধিতে এল সেটাই ভেবে পাচ্ছি না! স্প্যানিশ ফুটবলার বাংলায় চলবে না। এখানকার আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য আফ্রিকান ফুটবলারই আদর্শ। পিয়ারলেস কলকাতা লিগে চ্যাম্পিয়ন হল তো এই কারণেই।’ মজিদ ধূমকেতুর মতো উঠে এসে দু’বছরের মধ্যেই হারিয়ে যান। এই প্রসঙ্গে মনোরঞ্জন বলেন, ‘মজিদের নষ্ট হওয়ার নেপথ্যে তৎকালীন ইস্ট বেঙ্গল কর্তারাই দায়ী। নাহলে মজিদ অনেক বছর খেলতে পারত স্বমহিমায়। আমি অনুশীলনে নিজেকে উন্নত করার জন্য ওর বিপক্ষে খেলতাম।’