পারিবারিক ক্ষেত্রে কলহের আশঙ্কা। ঠান্ডা মাথায় চলুন। বিজ্ঞানী, ব্যবসায়ী, সাহিত্যিকদের শুভ সময়। ... বিশদ
উপ সংশোধনাগার সুত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে আবাসিকদের একমাস ধরে এই যোগ প্রশিক্ষণ শিবির হয়েছিল। সেই সময় তাঁরা মানসিক অবসাদ থেকে মুক্তি যেমন পেয়েছিলেন, তেমন বিভিন্ন রকম রোগের থেকেও মুক্তি পেয়েছিলেন। তারপর সেই শিবির বন্ধ হয়ে যায়। এবারও যোগ প্রশিক্ষণ শিবির শুরু হচ্ছে। এবার এই শিবির যাতে বন্ধ না হয় তারজন্য যোগ প্রশিক্ষক আবাসিকদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে যোগব্যায়াম কীভাবে করতে হয় তা শিখিয়ে দেবেন। সেই সঙ্গে আবাসিকদের যোগব্যায়াম করাবেন। আট থেকে নয় মাস যোগ প্রশিক্ষক তাঁদের যোগব্যায়াম করানোর পর আবাসিকরা সেই শিবির চালিয়ে নিয়ে যাবেন। যোগ প্রশিক্ষক তন্ময় সরকার বলেন, এর আগে একবার একমাসের যোগ শিবির করা হয়েছিল। এবার আবাসিকরা যোগ শিবির করার জন্য সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করে। সেই মতো তাঁরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আমরা প্রথম দশদিন প্রতিদিন যোগ শিবির করব। পরে সপ্তাহে দু’ দিন করব। সেই সঙ্গে আবাসিকদের দীর্ঘ মেয়াদি যোগব্যায়াম করানোর জন্য প্রশিক্ষণ দেব। যাতে তাঁরা বাকি আবাসিকদের যোগব্যায়াম শেখাতে পারে।
উপ সংশোধনাগারের জেলার অরূপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, যোগব্যায়াম করলে আবাসিকদের মানসিক অবসাদ আসবে না। অনেক রোগের উপশম হবে। আবাসিকরা একাকিত্ব থেকে মুক্তি পাবে। আবাসিকদের কয়েকজন যোগব্যায়াম শিখে প্রশিক্ষক হয়ে বাকিদের যোগব্যায়াম করাবেন।
উপ সংশোধনাগারের আবাসিক গোপালচন্দ্র বিশ্বাস বলেন, যোগব্যায়াম করলে আমাদের অনেক লাভ। আমরা পরিবারের লোকের সঙ্গে সময় কাটাতে পারি না। তাতে আমাদের মানসিক অবসাদ, নানারকম রোগ সৃষ্টি হয় চিন্তা থেকে। যোগব্যায়ামে সেই সব অনেকটা কমে যাবে। তাই কর্তৃপক্ষের এই উদ্যোগে আমাদের ভালো হবে।