সংবাদদাতা, কান্দি: পঞ্চায়েতের সাধারণ সভায় ৩০ জনের মধ্যে হাজির মাত্র পাঁচজন। বাকিরা অনুপস্থিত। ফলে ভেস্তে গেল খড়গ্রাম ব্লকের কীর্তিপুর পঞ্চায়েতের সাধারণ সভা। বৃহস্পতিবার সাধারণ সভায় এলাকার উন্নয়ন নিয়ে একটি কথাও আলোচনা হল না। এনিয়ে এলাকায় রাজনৈতিক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ওই পঞ্চায়েতের ৩০টি আসনের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস একাই ১৪টি আসন পেয়েছিল। অপরদিকে কংগ্রেস সিপিএম জোট পেয়েছিল ১৫টি আসন। ১টি আসন নির্দল প্রার্থীর দখলে যায়। সেখানে প্রধান নির্বাচিত হন কংগ্রেসের পিঙ্কি খাতুন। উপপ্রধান হন নির্দল প্রার্থী সাহিনা খাতুন। পঞ্চায়েতের সবক’টি স্থায়ী সমিতিতে কংগ্রেস সিপিএম জোটের সদস্যরা নির্বাচিত হন। এরপর কিছুদিন একসঙ্গে কাটলেও লোকসভা ভোটের মুখে পঞ্চায়েত সদস্যদের মধ্যে ভাঙন ধরে। কংগ্রেস প্রধান সহ আরও তিনজন কংগ্রেস সিপিএম সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। ফলে ওই পঞ্চায়েতে তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য সংখ্যা ১৮তে দাঁড়ালেও স্থায়ী সমিতিগুলি কংগ্রেস সিপিএম জোটের পক্ষে থেকে যায়। এরপর এদিন পঞ্চায়েতে সাধারণ সভা ডাকা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে পঞ্চায়েত প্রধান সহ মাত্র পাঁচজন সদস্য হাজির হয়েছিলেন। দুপুর গড়িয়ে গেলেও বাকি সদস্যরা হাজির হননি। ফলে বিকেলের দিকে সাধারণ সভা ভেস্তে যায়। এনিয়ে এলাকায় রাজনৈতিক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কংগ্রেসের খড়গ্রাম ব্লক সভাপতি আবুল কাশেম বলেন, কোনও প্রকল্প আগে স্থায়ী সমিতিতে পাশ করার পর সেটি সাধারণ সভায় তোলা হয়। কিন্তু তৃণমূল সদস্যদের হাতে স্থায়ী সমিতি নেই। এদিন স্থায়ী সমিতির অনুমোদন ছাড়াই বিভিন্ন প্রকল্প সাধারণ সভায় পাশ করার চেষ্টা করার কথা ছিল। সেই কারণে বুদ্ধিমান জনপ্রতিনিধিরা সাধারণ সভায় হাজির হননি। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের এক সদস্য বলেন, আসলে বিষয়টি তা নয়। পঞ্চায়েত প্রধানকে আমাদের দলের কয়েকজন সদস্য মেনে নিতে পারছেন না। সেই কারণে সাধারণ সভায় জোটের সদস্যদের মতো আমাদের দলেরও অনেকে আসেননি। তবে পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, অন্য কোনও কারণ নয়, সাধারণ সভায় মাত্র পাঁচজন হাজির হওয়ায় এটি বাতিল হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের খড়গ্রাম ব্লক দক্ষিণ সভাপতি শাশ্বত মুখোপাধ্যায় বলেন, পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে আমাদের দলের সদস্যদের বোঝাপড়ার অভাব রয়েছে। সেটি বসে ঠিক করে দেওয়া হবে। এর জন্য রাজনৈতিক শোরগোলের কিছু নেই।