পারিবারিক ক্ষেত্রে কলহের আশঙ্কা। ঠান্ডা মাথায় চলুন। বিজ্ঞানী, ব্যবসায়ী, সাহিত্যিকদের শুভ সময়। ... বিশদ
লোকসভা ভোটের প্রার্থী হওয়া ইস্তক দেবকে কড়া আক্রমণের পথেই হেঁটেছিলেন তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হিরণ্ময় চট্টোপাধ্যায় (হিরণ)। গোরু পাচার মামলা থেকে ঘাটালের উন্নয়ন, নানা ইস্যু নিয়ে দেবের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন তিনি। তৃণমূলের অভিযোগ, কখনও দেবকে নাটকবাজ, কখনও চোর, কখনও তার থেকেও নোংরা ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছেন হিরণ। দেবের পারফরম্যান্স নিয়েও প্রশ্ন তুলতে ছাড়েননি একদা বিধায়ক। ভোটের আগে ‘ভুয়ো’ অডিও ফাঁস করেও দেবের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করা হয়। যখন সব অস্ত্রই ব্যর্থ হল, তখন ভোটের দু’দিন আগে দেবের সঙ্গে গোরু পাচার কাণ্ডের যোগসাজশ প্রমাণ করতে কিছু নথিও প্রকাশ করে বিজেপি। তা নিয়ে দেবকে লাগাতার আক্রমণের মুখোমুখি হতে হয়।
শুধু তাই নয়, তৃণমূল নেতাদের বাপবাপান্ত করতেও ছাড়েননি হিরণ। পুলিসকে পর্যন্ত ‘জিতে এসে দেখে নেব’ বলে হুমকি দিয়েছেন হিরণ। যদিও আগামী পাঁচ বছরে আর ‘দেখে নেওয়া’ হল না হিরণের! তবে, হিরণের কু-কথার রাজনীতি দেখে দেব প্রথম থেকেই বলে আসছিলেন, ‘যাঁদের কাছে কোনও ইস্যু থাকে না, তাঁরাই ব্যক্তিগত আক্রমণের রাস্তায় হাঁটেন।’ বরং সে রাস্তায় না হেঁটে সৌজন্যের রাস্তাতেই হেঁটেছিলেন দেব। হিরণকে পাল্টা ব্যক্তি আক্রমণের পথে যাননি তিনি। হিরণকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, ঘাটালের মানুষ শান্তিপ্রিয় মানুষ। এসব পছন্দ করে না। ভোটে জিততে হলে উন্নয়নের কথা বলতে হবে। এমনকী দেব এও বলেছিলেন, ‘যত বেশি আক্রমণ করবে, তত ভোটে জিতব।’ বাস্তবে তাই হল।
হিরণকে বিপুল ভোটে হারানোর পরেও সৌজন্যের রাস্তা থেকে সরে আসেননি দেব। ভোটে জেতার পরেও দেব শুনিয়েছিলেন, ‘ও আমার শত্রু তো নয়! আমি একটা দলে আছি বলে, বাকিরা শত্রু, একেবারেই নয়। ওঁকে শুভেচ্ছা জানাই। জীবনে যা-ই করুন, শুভেচ্ছা রইল।’
ঘাটালবাসীর কথায়, দেব তাঁর কথাবার্তা ও কাজকর্মেই হৃদয় জিতে নিয়েছিলেন। উন্নয়নের কথা বলেছেন। ‘সবুজ ঘাটাল’-এর বার্তা দিয়েছেন। কিন্তু হিরণ শুধুই দেবকে আক্রমণ করে গিয়েছেন। সেটাই বুমেরাং হয়ে গিয়েছে।
এনিয়ে হিরণকে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তন্ময় দাস বলেন, দেবের বিরুদ্ধে হিরণ যা বলেছেন, তার একটা কথাও মিথ্যা নয়। এবার মানুষ কীভাবে সেটা নিয়েছেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার।