সংবাদদাতা, হলদিয়া: লোকসভা ভোট মিটতেই পথশ্রী প্রকল্পে হলদিয়ায় ৬৫ লক্ষ টাকা খরচে বেহাল রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। বর্ষার আগেই গ্রাম সড়কের কাজ শুরু হওয়ায় খুশি এলাকার বাসিন্দারা। ওই রাস্তা শিল্পাঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত করেছে হলদিয়া ও সুতাহাটার ১০-১২টি গ্রামকে। কিসমত, শিবরামনগর, ঘোড়ইমোড় থেকে সুতাহাটা বাজার পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার পিচ রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল ছিল। রাস্তায় পিচ উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তে পরিণত হয়। বর্ষায় রাস্তার বিভিন্ন খানাখন্দে জল জমে রীতিমতো ডোবার চেহারা নিত। ফলে নিত্যদিন দুর্ঘটনা লেগেই থাকত। ওই রাস্তায় যাতায়াত করেন হলদিয়ার বিভিন্ন কলকারখানার কয়েক হাজার শ্রমিক। পাশাপাশি কয়েকটি প্রাইমারি ও হাইস্কুলের পড়ুয়ারা স্কুলে যায়। হলদিয়া ব্লকের দেভোগ ও সুতাহাটা ব্লকের আশদতলিয়া পঞ্চায়েত এলাকার মানুষ এটি বাইপাশ রোড হিসেবে ব্যবহার করেন। হলদিয়া যাতায়াতে অনেকেই দুর্ঘটনার জন্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল রোড এড়িয়ে এই রাস্তায় যাতায়াত করেন। কিন্তু কয়েক বছর ধরে রাস্তা বেহাল থাকায় মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠেছিল। দীর্ঘদিন রাস্তা সংস্কারের কাজ না হওয়ায় বিভিন্ন গ্রামের মানুষ নানাভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। রাস্তা সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছিলেন স্থানীয় বিধায়ক তিলককুমার চক্রবর্তী। লোকসভা ভোটের আগেই পথশ্রী প্রকল্পের প্রায় ৬৫ লক্ষ টাকা অনুমোদন হয় রাস্তা সংস্কারের জন্য। ভোট মিটতেই রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হওয়ায় খুশি এলাকার মানুষ।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, শিবরামনগরের ঘোড়ই মোড় থেকে রাস্তা মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। এক মাসের মধ্যেই কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছে ঠিকাদার সংস্থা। স্থানীয় বাসিন্দা মিনতি বেরা বলেন, বর্ষার আগে রাস্তা সারানো হচ্ছে দেখে খুব ভালো লাগছে। কিন্ত পথবাতি না থাকায় সন্ধে নামলেই যাতায়াতের ভীষণ অসুবিধা হয়। ওই রাস্তায় ১০-১২টি গ্রামের মানুষ যাতায়াত করেন। পথবাতি লাগনো হলে খুব ভালো হবে। নতুন রাস্তা আগের থেকে চওড়া হচ্ছে। সেজন্য ছোট গাড়ির পাশাপাশি বড় গাড়ি চালানোর পরিকল্পনা করেছে প্রশাসন। সপ্তম শ্রেণির স্কুল পড়ুয়া প্রিয়াংশু পাল জানিয়েছে, বর্ষাকালে স্কুলে যেতে আর কষ্ট হবে না। তবে এলাকাবাসীর দাবি, রাস্তার ধারে পুকুরপাড়গুলি ঠিকমতো বাঁধানো হচ্ছে না। অল্পদিনের মধ্যেই ফের রাস্তা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা। প্রশাসনকে নজর দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। বিধায়ক বলেন, পুরনো রাস্তার পিচ তুলে দিয়ে নতুন করে দু’টো স্তরে পিচ দেওয়া হচ্ছে। পুকুর বাঁধানোর কোনও সমস্যা থাকলে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি।