পারিবারিক ক্ষেত্রে কলহের আশঙ্কা। ঠান্ডা মাথায় চলুন। বিজ্ঞানী, ব্যবসায়ী, সাহিত্যিকদের শুভ সময়। ... বিশদ
পূর্ব বর্ধমানের জেলার সব্জি ভান্ডার বলা হয় পূর্বস্থলী ২ ব্লককে। সেই কারনেই এলাকায় পারুলিয়া, কাঁলেখাতলা সহ পাঁচটি বড় পাইকারি সব্জি আড়ত আছে। এছাড়া ফলেয়া, জামালপুর মোড়, বিশ্বরম্ভাতেও পাইকারি সব্জি বাজার আছে। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার সব্জি বিক্রি হয় এখানকার বাজারগুলি থেকে। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন এলাকার সব্জি ব্যবসায়ীরা পূর্বস্থলীর আড়ত থেকে সব্জি সংগ্রহ করে থাকেন। প্রতিদিন প্রচুর ভিন রাজ্যের ট্রাক এসে ভিড় করে পূর্বস্থলীর বাজারগুলিতে।
পারুলিয়া বাজারের আদর্শপট্টিতে দু’দিকে সারি দিয়ে নানা দোকানপাট রয়েছে। অল্প বৃষ্টিতেই বাজারের ভিতরে জল দাঁড়িয়ে যায়। দোকানের ভিতরে জল ঢুকে মালপত্র ভিজে যায়। পচা জলে দূর্গন্ধ ছড়ায়। মশার উপদ্রব বাড়ে। ব্যবসায়ীরা নাজেহাল হয়ে যান। নিকাশি নালা উপচে জল আসায় নোংরা আবর্জনা যুক্ত জলেই পা ডুবিয়ে বসে থাকতে হয় বহু ব্যবসায়ীকে। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে নিকাশি নালা চওড়া করা হোক। আর জল যাতে না জমে তার ব্যবস্থা করা হোক।
আদর্শপট্টি বাজারের ব্যবসায়ী শঙ্কর কর্মকার বলেন, অল্প বৃষ্টি হলেই বাজারের ভিতরে জল জমে যায়৷ ক্রেতারা আসতে চান না। দোকানের ভিতরে জল ঢুকে যায়। আরেক ব্যবসায়ী অজিত চৌধুরী বলেন, নিকাশি নালা উপচে জল আসে৷ অবিলম্বে বাজার কমিটির প্রশাসনকে জানানো উচিত। কারণ বর্ষাকালে বৃষ্টি বাড়লেই দোকানের ক্ষতি হবে। লক্ষ লক্ষ টাকার মালপত্র জলে ভিজে যাবে। আমাদের চরম ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।
পূর্বস্থলীর পারুলিয়া বাজার কমিটির সম্পাদক কালীশংকর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমরা নিয়মিত নিকাশি নালাগুলিকে পরিষ্কার করি। বিভিন্ন দোকানের নোংরা নিকাশি নালার মধ্যে পড়ে। আমরা কিছুদিন আগে আদর্শপট্টি এলাকাটিকে সিমেন্ট দিয়ে উঁচু করেছি। আসলে রাস্তার উঁচু হয়েছে। তাই রাস্তার জল নিকাশি নালায় চলে আসে। আশেপাশের বাড়ি হওয়ায় নিকাশি নালা বুজে যাচ্ছে৷ তবে আমরা নিকাশি নালার সমস্যা নিয়ে প্রশাসনের কাছে দ্বারস্থ হব, যাতে নিকাশি নালা আরও চওড়া করা যায় তার ভাবনা চিন্তা করব।