নিজস্ব প্রতিনিধি, আরামবাগ ও সংবাদদাতা, পুরুলিয়া: বুধবার পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডি ও আরামবাগ মহকুমার খানাকুলে বজ্রাঘাতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে অযোধ্যা পাহাড়ে বাজ পড়ে রামদাস হাঁসদা (৫৫), বিহারি বেসরা (৬০) ও রামনাথ কিস্কুর(৩৫) মৃত্যু হয়। তাঁদের বাড়ি ভুঁইঘড়া গ্রামে। এছাড়া খানাকুল-২ ব্লকের শাবলসিংহপুর পঞ্চায়েতের হরিশ্চক এলাকার তিলকা মাইতির(৬৫) মৃত্যু হয়েছে। ঘটনায় মৃতদের পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন অযোধ্যা পাহাড়ের বিদ্যাজারা এলাকায় বৃষ্টির সময় ওই তিনজন একটি মাটির ঘরের চালার নীচে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেখানে বাজ পড়লে ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে আসে এলাকায়। এলাকার বাসিন্দা তথা বাঘমুণ্ডি পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ ব্যাসমণি মুর্মু বলেন, এদিন ওঁরা হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। রাস্তায় ঝড় বৃষ্টি শুরু হলে একটি চালাঘরে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেই সময় ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে বিদ্যাজারা এলাকায় যাই। জানতে পেরেছি, ওই চালাঘরে বৃষ্টির সময় মোট ছ’জন আশ্রয় নিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি তিনজন জখম হয়েছেন। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দল ওই পরিবারগুলির পাশে রয়েছে।
খানাকুলে বজ্রাঘাতে বৃদ্ধা তিলকা মাইতির(৬৫) মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে এলাকায় হঠাৎ ঝড়, বৃষ্টি শুরু হয়। সেই সময় তিলকাদেবী বজ্রাঘাতে জখম হন। তাঁকে উদ্ধার করে নতিবপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। বৃদ্ধার ছেলে সন্ন্যাসী মাইতি বলেন, জমিতে মা ও পরিবারের অন্য সদস্যরাও বাদাম তুলছিলেন। আমি জমি থেকে কিছুটা দূরে ছিলাম। আকাশে হঠাৎ মেঘ করে আসে। বৃষ্টির সঙ্গে বাজ পড়ছিল। বজ্রাঘাতে মা গুরুতর জখম হন।