অত্যাধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গোটা রাজ্যে ১ লক্ষ ২৫ হাজারের মধ্যে সব থেকে বেশি গো-পালকদেরই এই কার্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যে এক লক্ষ গো-পালককে এই কার্ড দেওয়া হবে বলে ঠিক হয়েছে। এছাড়া ১৫ হাজার ছাগপালক এবং ১০ হাজার মুরগি পালককে এই কার্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। রাজ্যের মধ্যে পূর্ব বর্ধমান জেলায় সব থেকে বেশি লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এই জেলায় ১১ হাজার ৮০০ জন প্রাণিপালককে এই কার্ড দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। তারপরই রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা। এই জেলায় ৯২০০ জন প্রাণিপালককে এই কার্ড দেওয়া হবে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ৮৬০০ জন এবং কোচবিহার জেলায় ৭৯০০ জনকে এই কার্ড দেওয়ার টার্গেট নেওয়া হয়েছে। কোচবিহারের পর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা রয়েছে। এই জেলায় ৭৩০০ জন প্রাণিপালককে এই কার্ড দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে ৬০০০ কার্ড গো-পালকদের দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া ৮০০জন ছাগ-পালক এবং ৫০০ জন মুরগি পালককে এই কার্ড দেওয়া হবে বলে ঠিক হয়েছে।
প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেপুটি ডিরেক্টর তুষারকান্তি সামন্ত বলেন, রাজ্য থেকে কয়েকদিন আগেই এই নির্দেশিকা এসেছে। ইতিমধ্যেই আমরা প্রাণিপালকদের কার্ড দেওয়ার কাজ শুরু করেছি। কৃষকদের মতো প্রাণিপালকরা কিষাণ ক্রেডিট কার্ড পেলে অনেকটাই উপকৃত হবেন। লোন পেতে তাঁদের আর খুব বেশি বেগ পেতে হবে না। আর সময়মতো লোন মিটিয়ে দিলে তারা ফের লোন পেতে পারবেন। এই কার্ডের মাধ্যমে দেড় থেকে দু’লক্ষ টাকা পর্যন্ত তাঁরা লোন পেতে পারেন। অনেকেই এই টাকায় নতুন ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। আর এই কার্ড পাওয়ার জন্য কোনও ঝক্কি নেই। আমাদের দপ্তরে এসে কার্ড চেয়ে আবেদন জানিয়ে একটি ফর্ম ফিলআপ করলেই হবে।
মিমুলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মলয়কুমার দাস বলেন, গো-পালকদের কিষাণ ক্রেডিট কার্ড দেওয়ার বিষয়টি কয়েকদিন আগেই জানতে পারি। আসলে কৃষকদের মতো গো-পালকদের কিষাণ ক্রেডিট কার্ড থাকলে অনেক সুবিধা হবে। এমনিতে ব্যাঙ্কে লোন পেতে বহু কাঠখড় পোড়াতে হয়। এক্ষেত্রে সেটা হবে না। অনেকে উৎসাহী হয়ে গো-পালন শুরু করার উদ্যোগ নেবেন।
ওয়েস্ট বেঙ্গল পোলট্রি ফেডারেশনের রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক মদনমোহন মাইতি বলেন, এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। ছোট ছোট মুরগি পালকরা এতে উপকৃত হবেন। অনেকেই এই কার্ড করিয়ে ব্যাঙ্ক থেকে লোন নিয়ে নতুন করে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।