অত্যাধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, ওই গ্রামেরই কয়েকজন যুবক মিলে পিকনিকের জন্য রান্না করছিলেন। সেই সময় তিনদিন আগে মুম্বই থেকে ফেরা এক শ্রমিক সেখানে হাজির হলে যুবকরা আপত্তি তোলেন। এনিয়ে বচসা হতেই মারামারি শুরু হয়। এলাকার বাসিন্দা তথা তৃণমূলের এই অঞ্চলের সভাপতি টোকন সরকার বলেন, ওই শ্রমিক দিন কয়েক আগে বাড়ি ফিরেছেন। এদিন তিনি পিকনিকে হাজির হতেই যুবকরা আপত্তি তোলেন। কারণ, তিনি সংক্রামিত হয়ে থাকলে অন্যদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে। কিন্তু, না শোনায় দু’পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। তাতেই ওই শ্রমিক জখম হয়েছেন। তিনি বলেন, অনেকেই হোম কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম মানছেন না।
পুলিস জানিয়েছে, ২২মে মুম্বই ফেরত ওই শ্রমিকের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছিল। এদিন তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে রান্নার জায়গায় হাজির হয়ে যাওয়ায় গ্রামের যুবকদের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছে। বিষয়টি দেখা হচ্ছে।
এদিকে ভিনজেলা বা রাজ্য থেকে ফেরা মানুষজন হোম কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম মানছেন কি না তা দেখতে জনপ্রতিনিধি, পুলিস, স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে প্রশাসনিক নজরদারি কমিটি রয়েছে। তারপরও ওই শ্রমিক কী করে বাড়ির বাইরে আসতে পারেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। এব্যাপারে বিএমওএইচ ডাঃ অভিজিৎ চৌধুরী বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখে পুলিসকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলছি। ব্লক প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ভিনরাজ্য থেকে এই ব্লকে প্রায় ১২০০ মানুষ ফিরেছেন। নজরদারি জোরদারের পাশাপাশি তাঁরা যাতে হোম কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম পালন করেন সেই ব্যাপারে মাইকিং করে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হবে।