অত্যাধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
লকডাউনে কিছুটা শিথিলতা দিতেই রামপুরহাট মহকুমাজুড়ে শুরু হয়েছে টোটোর দাপট। সরকারি নির্দেশিকা উপেক্ষা করে দু’জনের বদলে ছ’-সাতজন যাত্রী চাপিয়ে চলছে টোটোগুলি। এমনকি মাস্ক পরা আবশ্যিক থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে চালক, অরোহী কেউই তা মানছেন না। আর এতেই করোনা আতঙ্ক গ্রাস করেছে শহরের নাগরিকদের। তাঁরা বলছেন, রামপুরহাট মহকুমায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। পুলিস ও পুরসভা সদর্থক ভূমিকা পালন না করলে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে যাবে। তখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে করোনা। তবে শুধু টোটো নয়, বাইকেও হেলমেট ছাড়াই দু’জনের বদলে তিন-চারজন চেপে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সঙ্গে থাকছে শিশুও। তারা মাস্কও ব্যবহার করছে না। মোটরভ্যান, অটো সবেতেই একই চিত্র।
নলহাটির বাসিন্দা শুভদীপ দাস বলেন, নিজের, পরিবার ও সমাজের কথা না ভেবে টোটোচালকরা যেভাবে সরকারি বিধি উপেক্ষা করে যাত্রী বহন করে চলেছেন তাতে ভীষণ আতঙ্কিত আমরা। কারণ, যাত্রী বা চালকের মধ্যে কেউ ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে থাকলে তা ছড়িয়ে পড়বে। সংক্রমণের আশঙ্কা থাকলেও পুলিসকে সেভাবে ব্যবস্থা নিতে দেখা যাচ্ছে না।
রামপুরহাটের বাসিন্দা এহেসান আলি বলেন, লকডাউন শুরুর দিকে পুলিস যতটা সক্রিয় ছিল, এখন ততটাই নিষ্ক্রিয়। সরকারি নিয়ম অমান্য করলেও পুলিস ব্যবস্থা না নেওয়ায় শহরে অতিরিক্ত যাত্রী চাপিয়ে বেপরোয়াভাবে চলছে টোটাগুলি। অবিলম্বে নিয়ম ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। নইলে সংক্রমণ সকলকে গ্রাস করবে। আক্ষেপের সুরে আর এক বাসিন্দা সুবিমল কর্মকার বলেন, টানা লকডাউনে আর্থিক সঙ্কট নিয়ে গৃহবন্দি থাকলাম। এখন দেখে যা মনে হচ্ছে তাতে দু’মাস বিফলে গেল। কিছু মানুষ তো করোনাকে হাল্কাভাবে নিতে শুরু করেছেন। যার ফল আমাদের সকলকে ভুগতে হবে।
এব্যাপারে তৃণমূল প্রভাবিত রামপুরহাট টোটোচালক ইউনিয়নের সম্পাদক বাদশা পোদ্দার বলেন, সংগঠনের পক্ষ থেকে সামাজিক দূরত্ব মেনে দু’জন যাত্রী চাপিয়ে টোটো চলতে বলা আছে। লকডাউন চলাকালীন এতদিন রাস্তায় মানুষ বা টোটো বেরলে প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছিল। এখনও প্রশাসনের সদর্থক ভূমিকা নেওয়া উচিত। আমরা প্রশাসনের সঙ্গে রয়েছি।
অন্যদিকে সমস্যার কথা স্বীকার করে রামপুরহাট পুরসভার প্রশাসক অশ্বিনী তেওয়ারি বলেন, যেভাবে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করে টোটো বা অন্যান্য যানবাহন চলছে তা সত্যিই উদ্বেগের। পুলিসকে চিঠি দিয়ে সরকারি নির্দেশিকা মেনে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলছি। সেই সঙ্গে সচেতন করতে শহরজুড়ে মাইকিং করা হবে।