শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
সুপার সাইক্লোনের পরই তমলুক জেলা হাসপাতাল, হলদিয়া মহকুমা হাসপাতাল এবং নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে বিদ্যুৎ বিপর্যয় হয়েছিল। তখন জরুরি ভিত্তিতে পিএইচই-র মাধ্যমে জেনারেটর বসানো হয়। দু’দিন পর ওই সব হাসপাতালে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হওয়ার পর সেখান থেকে জেনারেটর সরিয়ে অন্য দুর্গত এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে দীঘা সংলগ্ন একগুচ্ছ গ্রামের জেনারেটর বসানো আছে। তারমধ্যে মান্দারমণি, শঙ্করপুর, মান্দার এবং রানিসাই, কাঁথির পিছাবনি, রসুলপুর, এগরার সাতমাইল, হলদিয়ার চৈতন্যপুর, মানিকপুর, তমলুকের দক্ষিণ ধলহরা, পূর্ব বকুলদা সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় পিএইচই দপ্তরের মাধ্যমে জেনারেটর বসানো হয়েছে। সেইসব জেনারেটর এই মুহূর্তে বিকল্প শক্তির কাজ করছে।
উম-পুনের দাপটে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার ২৮টি সাপ্লাই এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ৪০হাজারের বেশি ইলেক্ট্রিক খুঁটি ভেঙে পড়েছে। দু’হাজারের বেশি ট্রান্সফর্মার নষ্ট হয়েছে। কয়েকশো কিলোমিটার তার ছিঁড়ে রাস্তায় পড়ে রয়েছে। ভয়াবহ বিপর্যয় মোকাবিলায় ডব্লুবিএসইডিসিএল যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চালালেও বেশিরভাগ জায়গা এখনও পরিষেবা স্বাভাবিক হয়নি। বিশেষ করে নন্দীগ্রাম, খেজুরি, কাঁথি, রামনগর প্রভৃতি ব্লকের গ্রামীণ এলাকায় এখনও সেভাবে পৌঁছতেই পারেনি বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা। কবে নাগাদ পরিষেবা স্বাভাবিক হবে, সেটা স্পষ্ট নয়।
রামনগর ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় এক লক্ষ জলের পাউচ সরবরাহ করেছে পিএইচই দপ্তর। পাউচ তৈরির মেশিন নিয়ে যাওয়া হয়েছে রামনগরে। মান্দারমণিতে জলের একটি ট্যাঙ্কার দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও কাঁথির দুরমুট এলাকায় একটি ট্যাঙ্কার চেয়ে আবেদন করেছেন বিডিও। এই মুহূর্তে সর্বত্র জলের প্রচণ্ড সঙ্কট চলছে। তবে, পিএইচই-র মাধ্যমে ৫০টি জেনারেটর যথেষ্ট নয়। তাই মহিষাদল থেকে নন্দকুমার, হলদিয়া থেকে কাঁথি সর্বত্র স্থানীয় স্তরে জেনারেটর ভাড়া করে জল তোলা চলছে। বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই সমস্যা মিটবে না।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করার জন্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা খুঁটি, তার সরবরাহ করছে। এর বাইরে বিভিন্ন এজেন্সির কাছ থেকে সরঞ্জাম কেনার জন্য সংস্থার তমলুকের রিজিওনাল ম্যানেজারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেভাবেই হোক দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হবে। সেজন্য গ্রামীণ বিদ্যুতায়নের কাজে যুক্ত বিভিন্ন এজেন্সির কাছ থেকে খুঁটি, তার কেনার অনুমতি দেওয়া আছে। উপকূলবর্তী অনেক গ্রামে একটিও খুঁটি আস্ত নেই। পরিস্থিতি সত্যিই ভয়াবহ। এই অবস্থায় মানুষকে সুরাহা দিতে ডব্লুবিএসইডিসিএল থেকে পিএইচই সমস্ত বিভাগই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নেমেছে।
পিএইচই দপ্তরের তমলুকের ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার বলেন, আমরা সাইক্লোনের পরদিন থেকেই ৫০টি জেনারেটর ভাড়া করে বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করেছি। যেসব জায়গায় বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হচ্ছে, সেখান থেকে জেনারেটর অন্যত্র সরানো হচ্ছে। পাশাপাশি সাইক্লোনে আমাদের দপ্তরের প্রায় পাঁচ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।