বিদ্যার্থীদের মানসিক উদ্বেগ বৃদ্ধি পাবে। পঠন-পাঠনে আগ্রহ কম থাকবে। কর্মলাভের সম্ভাবনা আছে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
এদিন নিহত যুবকের বাড়িতে যান নদীয়া উত্তর জেলা বিজেপি সভাপতি মহাদেব সরকার। এর কিছু পরেই নবদ্বীপের বিধায়ক তৃণমূলের পুণ্ডরীকাক্ষ সাহা সেখানে পৌঁছান। দু’জনেই মৃত যুবকের পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। মহাদেব সরকার সংবাদ মাধ্যমের কাছে অভিযোগ তুলে বলেন, কৃষ্ণ দেবনাথের অপরাধ বলতে সে জয় শ্রীরাম বলেছিল। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নামে জিন্দাবাদ ধ্বনি দিচ্ছিল। সেই অপরাধে তৃণমূলের বেশ কিছু দুষ্কৃতী তাকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে খুন করে।
অন্যদিকে, অভিযোগ অস্বীকার করে নবদ্বীপ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের হরিদাস দেবনাথ বলেন, মহাদেববাবুর অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এই ঘটনার পিছনে কোনও রাজনীতি নেই।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে স্বরূপগঞ্জ পঞ্চায়েতের গাদিগাছা এলাকায় নবদ্বীপ-কৃষ্ণনগর রাজ্য সড়কে ঘটনাটি ঘটে। ওই যুবক যানবাহন চলাচলে বাধা দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। সেই সময় তিনজন তার উপর চড়াও হয়ে নৃশংসভাবে মারধর করে। পরে স্থানীয়রাই ওই যুবককে উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দারা মহেশগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে ওই যুবককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে কলকাতার এনআরএস মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই যুবকের মৃত্যু হয়।
মৃত যুবকের মা শেফালি দেবনাথ বলেন, আমার ছেলে চেন্নাইয়ের একটি হোটেলে কাজ করত। ছুটি নিয়ে বুধবার সকালেই সে বাড়িতে আসে। শেফালিদেবীর অভিযোগ, ওইদিন সন্ধ্যায় অভিযুক্তরা ছেলেকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর রাতে দুর্ঘটনার খবর আসে। আমার ছেলেকে রাস্তায় ফেলে লোহার রড ও পাথর দিয়ে নৃশংসভাবে মারধর করা হয়। নিহত যুবকের স্ত্রী সুপ্রিয়া দেবনাথ বলেন, আমার স্বামীকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। অভিযুক্তদের কঠিন শাস্তি চাই।