বিদ্যার্থীদের মানসিক উদ্বেগ বৃদ্ধি পাবে। পঠন-পাঠনে আগ্রহ কম থাকবে। কর্মলাভের সম্ভাবনা আছে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার ভোরে ভাতার থানার এরুয়ার গ্রামে তৃণমূল ও বিজেপির লোকজনের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ চলাকালীন বোমাবাজি করা হয়। উভয়পক্ষই বোমাবাজি করে বলে অভিযোগ। বিজেপির দু’জনকে তৃণমূলের লোকজন ধরে ফেলে বেধড়ক মারধর করে। পুলিস তাদের উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
ঘটনার সূত্রপাত এদিন ভোরে। বেশ কিছুদিন ধরে ঘরছাড়া সিপিএমের লোকজন বাড়ি ফেরার চেষ্টা করে। ইদানীং তারা সিপিএম ছেড়ে বিজেপির শিবিরে যোগ দিয়েছে। খবর পেয়ে তৃণমূলের লোকজন তাদের গ্রামে ঢুকতে বাধা দেয় বলে অভিযোগ। এতে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষ চলাকালীন ব্যাপক বোমাবাজি হয়। ভাতার পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ মানগোবিন্দ অধিকারীর বাড়ির সামনেও বোমাবাজি করা হয়। খবর পেয়ে পুলিস এরুয়ার গ্রামে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘরে ফেরার জন্য আসা লোকজন নবাবনগরে আশ্রয় নেয়। সেখানেও তৃণমূলের লোকজন গিয়ে ঘরছাড়াদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বিজেপির লোকজনকে চমকায় বলে অভিযোগ। এতে গ্রামে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিস নবাবনগরে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
নবাবনগরে পুলিসের লোকজন তৃণমূল সমর্থক শম্ভু শীলের দোকানে চা খাচ্ছিল। সেই সময় বিজেপির লোকজন শম্ভুবাবুর দোকান ভাঙচুর করে। বাধা দিতে গেলে পুলিসের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাধে বিজেপির লোকজনের। পুলিসের উপরে হামলা চালানো হয়। পুলিসকে লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়ে বিজেপির লোকজন। তাতে কয়েকজন পুলিসকর্মী জখম হন। পুলিসের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ভাতার থানার সাব-ইন্সপেক্টর মধুমিলন ভাণ্ডারী ও হোমগার্ড মাধবচন্দ্র দে গুরুতর জখম হন। তাঁদের ভাতার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিস সুপারের(হেড কোয়ার্টার) নেতৃত্বে বিশাল পুলিস বাহিনী নবাবনগরে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে আটজন মহিলাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এক ব্যাগ পাথর, রড, বাঁশ, বঁটি, ঝাঁটা প্রভৃতি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিস।
মানগোবিন্দবাবু বলেন, আমাকে খুনের পরিকল্পনায় হামলা চালানো হয়েছে। সিপিএমের লোকজন এখন বিজেপি হয়ে এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে। বিজেপি অবশ্য বোমাবাজি ও হামলার কথা অস্বীকার করেছে।
বিজেপির জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দী বলেন, বোমাবাজির সংস্কৃতিতে বিজেপি বিশ্বাসী নয়। পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকে ওই এলাকায় বিরোধীদের ঘরছাড়া করা হয়েছে। লোকসভার সময় ঘরছাড়া লোকজন আমাদের দলের পতাকা তুলে নেন। তাঁদের উপর তৃণমূল হামলা চালিয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিস সুপার(হেড কোয়ার্টার) প্রিয়ব্রত রায় বলেন, এলাকায় পুলিস রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।