উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসার অমিতকুমার গুহ বলেন, আগের বোর্ডের চেয়ারম্যান কয়েকজন অস্থায়ী কর্মীর মাইনে দু’হাজার থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত বাড়িয়েছেন। বিষয়টি এখন অন্যান্যরা জেনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। তাঁদের দাবি, প্রত্যেকের মাইনে মাসে দু’হাজার টাকা করে বাড়াতে হবে। বিষয়টি আমার এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না। এটা পুরোপুরি পুরসভার প্রশাসনের অধীনে পড়ে। আমি বর্ধমান সদর(উত্তর) মহকুমা শাসক তথা পুরসভার প্রশাসককে গোটা বিষয়টি জানিয়েছি।
গত বছর ২২অক্টোবর বর্ধমান পুরসভার তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়। মেয়াদ শেষ হওয়ার মুহূর্তে অধিকাংশ কাউন্সিলারকে গোপনে রেখে চেয়্যারম্যান এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ এক এমসিআইসি ১৪জন অস্থায়ী কর্মীর মাইনে বৃদ্ধি করে দেন বলে অভিযোগ। পুরসভায় মোট ১১০০অস্থায়ী কর্মী আছেন। তারমধ্যে ১৪জনের মাইনে বৃদ্ধির বিষয়টি ঠিক নয় বলে আন্দোলনকারীদের দাবি। মাইনে বাড়ানোর বিষয়টি সিংহভাগ কাউন্সিলার এবং অন্যান্য অস্থায়ী কর্মীদের অজানা ছিল। সম্প্রতি বিষয়টি সামনে এসেছে। কয়েকজন বাছাই করা অস্থায়ী কর্মীর মাইনে বাড়ানোর ঘটনা অনৈতিক দাবি করে এদিন কর্মীরা একযোগে আন্দোলনে নামেন। যদিও পুরসভার চেয়ারম্যান স্বরূপ দত্ত বলেন, এরকম কারও মাইনে বাড়িয়েছি বলে মনে পড়ছে না।
তবে পুরসভার কর্মীরা এদিন ১৪জন কর্মীর তালিকা সামনে নিয়ে বিক্ষোভ কমসূচিতে শামিল হন। তাতে দেখা যায়, ন’জন কর্মীর প্রতি মাসে দু’হাজার টাকা এবং বাকি পাঁচজনের মাইনে মাসে এক হাজার টাকা করে বাড়ানো হয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন শ’য়ে শ’য়ে অন্যান্য অস্থায়ী কর্মী। এদিন বিভিন্ন দপ্তর থেকে অস্থায়ী কর্মীরা জড়ো হন। এরপর তাঁরা কর্মবিরতির ডাক দিয়ে আন্দোলনে শামিল হন। অস্থায়ী কর্মীদের মাসে গড়ে ৭০০০টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু, প্রাক্তন পুরকর্তার কয়েকজন ঘনিষ্ঠ কর্মীকে যেভাবে গোপনে বর্ধিতভাবে মাইনে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা নজিরবিহীন বলে অস্থায়ী কর্মীদের দাবি।
এদিকে বোর্ডের মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পরও পুরসভার প্রাক্তন এক এমসিআইসি বকলমে বোর্ড চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন আন্দোলনকারীদের একটা অংশ। ওই প্রাক্তন এমসিআইসি-র জন্য আলাদা অফিস ঘর বানানো হয়েছে। সেখানে সম্প্রতি এসি বসানো হয়েছে। দু’জন পিওন নিয়মিত সেখানে বসছেন। আশ্চর্যের বিষয় হল, ওই নেতার ব্যক্তিগত গাড়ির চালক গত ৮মার্চ পুরসভায় স্থায়ী কর্মী হিসেবে নিযুক্ত হন। তারপরও পুরসভার ওই কর্মী পুরসভার পরিবর্তে নেতার গাড়ি চালাচ্ছেন। অফিসে না এসেই পুরসভার কোষাগার থেকে মাইনে তুলছেন। এব্যাপারে এগজিকিউটিভ অফিসার বলেন, এই মুহূর্তে পুরসভার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান নেই। তাই গাড়ি চালক অতিরিক্ত আছেন। ওই গাড়ি চালক অফিসে স্ট্যান্ডবাই থাকেন। অফিস আওয়ার্সের বাইরে নেতার গাড়ি চালান।