উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
২০১৭ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় অষ্টম স্থান অর্জন করেছিলেন ঋতম নাথ। এবার এল অপ্রতাশিত সাফল্য। উচ্চমাধ্যমিকে রাজ্য মেধাতালিকায় যুগ্মভাবে দ্বিতীয় হলেন তিনি। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৬। ঋতমের বিষয়ভিত্তিক নম্বর হল বাংলায় ৯১, ইংরেজিতে ১০০, রসায়নে ৯৯, গণিতে ১০০, পদার্থবিজ্ঞানে ৯৮, জীবনবিজ্ঞানে ৯৯। পাঁচটি বিষয়ে মোট নম্বর ৪৯৬। উচ্চমাধ্যমিকে রেজাল্ট এতটা ভালো হবে ঋতমের তা ভাবনার বাইরে ছিল। তিনি মাধ্যমিকের পর কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুলেই ভর্তি হন বিজ্ঞান বিভাগে। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য তেমন প্রস্তুতি নেননি। বরং সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষাগুলির জন্যই তাঁর প্রস্তুতি বেশি ছিল। সেই সব প্রবেশিকা পরীক্ষাগুলি দিয়ে বেশ কয়েকটিতে তিনি ভালো র্যা ঙ্ক করেন। তবে তাঁর ইচ্ছা আইআইটিতে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পড়ার। তাই এদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল পর্যন্ত কল্যাণীতে আইআইটির প্রবেশিকা পরীক্ষা দেন। ঋতম জানতেন এদিন উচ্চমাধ্যমিকের ফল প্রকাশ হবে। তবু পরীক্ষা চলাকালীন তিনি টেনশন মুক্ত ছিলেন।
ছয়টি বিষয়ে সাতটি টিউশন ছিল তাঁর। পড়াশোনায় আলদা কোনও রুটিন ছিল না তাঁর। নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী পড়াশোনা করেছেন। পড়তে ইচ্ছে না হলে টিভিতে ক্রিকেট খেলা দেখেন। বিরাট কোহলি তাঁর প্রিয় ক্রিকেটার। সামনেই বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপের প্রতিটি খেলাই তিনি দেখবেন বলে জানান। ক্রিকেট খেলা দেখার পাশাপাশি তাঁর মোবাইল ঘাঁটতে ভালো লাগে। অবসর সময়ে মোবাইলে সময় কাটান বেশি।
কৃষ্ণনগরের রায়পাড়াতে বাড়ি ঋতমের। তাঁর বাবা পার্থ নাথ পেশায় শিক্ষক। তিনি গাংনাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিষয়ের শিক্ষক। মা মৌসুমি নাথ গৃহবধূ। বাবা বলেন, ছেলে নিজের ইচ্ছেমতো পড়াশোনা করেছে। কখনও জোর করে পড়তে বসতে বলিনি। আগামী দিনে নিজের ইচ্ছেতেই ও যে বিষয়েই পড়াশোনা করুক, আপত্তি নেই। আমরা কোনও কিছু চাপিয়ে দিইনি। ছেলের এই সাফল্যের পিছনে ওর মায়ের বড় অবদান রয়েছে। স্কুলের শিক্ষকরা নানানভাবে সহায়তা করেছেন।