উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
তৃণমূল কর্মীরা বলেন, রবিবার রাতে রানাঘাট-১ ব্লকের বারাসাত গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা তাদের বিজয় মিছিল বার করে। মিছিলটি তাহেরপুর থানার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে তাহেরপুর পুরাতন পাড়া এলাকায় দিয়ে যাওয়ার সময় হামলা হয়। মিছিলের পিছনে থাকা বেশ কয়েকজন বিজেপির কর্মী-সমর্থক স্থানীয় তৃণমূল কর্মী পলাশ সরকারের বাড়িতে চড়াও হয়। এরপর বাড়ির সামনে বেড়া ভাঙচুর চালায়। এবিষয়ে তৃণমূল কর্মী পলাশবাবু অভিযোগ করে বলেন, এলাকায় বিজেপি লোকসভা নির্বাচনে জয়লাভের পরই আমাদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে। ঘটনার দিন রাতে যখন ওই বিজয় মিছিলটি আমার বাড়ির সামনে দিয়ে যাচ্ছিল। সেই সময় বাড়িতে কেবলমাত্র মহিলা সদস্যরা ছিলেন। পুরুষরা বাড়ির পিছনে চাষের জমিতে ছিল। হঠাৎই ওই বিজয় মিছিল থেকে আমাদের বাড়িতে ঢুকে ওরা ভাঙচুর চালায়। মহিলাদের মারধর ও শ্লীলতাহানি করে। বাড়িতে থাকা দুই শিশুও আহত হয়। পুলিস এলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। আহতদের নিয়ে যাওয়া হয় বাদকুল্লা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনার পাশাপাশি এলাকার তৃণমূলের একটি দলীয় কার্যালয়ও ব্যাপক ভাঙচুর করে বিজেপির কর্মীরা। অফিসে ব্যাপকভাবে ভাঙচুর করা হয়। এবিষয়ে রানাঘাট-১ ব্লকের বারাসত গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান শেফালি বিশ্বাস বলেন, আমাদের এই এলাকা জুড়ে ভোটের ফল ঘোষণার পরই বিজেপি সন্ত্রাস চালাচ্ছে। তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় দখলের চেষ্টা করছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বিষয়টি নিয়ে আমরা থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে নদীয়া জেলা দক্ষিণ বিজেপির সম্পাদক সুফল সরকার বলেন, আমাদের দলের কোনও কর্মী সমর্থক হিংসার সঙ্গে যুক্ত আছে বলে আমি মনে করি না। তৃণমূলের পক্ষ থেকে আমাদের দলের নামে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে।