পারিবারিক ক্ষেত্রে কলহের আশঙ্কা। ঠান্ডা মাথায় চলুন। বিজ্ঞানী, ব্যবসায়ী, সাহিত্যিকদের শুভ সময়। ... বিশদ
মামলাটি ছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে। বেশ কয়েকটি শুনানি হয় সেই এজলাসেই। জানা গিয়েছে, বিচারপতি শ্যামচাঁদের গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যপদ খারিজের নির্দেশ দেন। সদর মহকুমা শাসক পঙ্কজ তামাং একটি নির্দেশিকা জারি করে শ্যামচাঁদের সদস্যপদ খারিজ করেছেন।
বিষয়টি স্বীকার করে শ্যামচাঁদের বক্তব্য, বিচারপতি সিনহার নির্দেশে আমার সদস্যপদ খারিজ হয়েছে।
শ্যামচাঁদের সাফাই, আমি জানতাম না ঠিকাদাররা ভোটে লড়াই করতে পারেন না। নাহলে ঠিকাদারি সংস্থার সিকিউরিটি ডিপোজিটের টাকা লক্ষ্মীপুর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে তুলে নিতাম। তবে রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেছি। বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যের অভিযোগ, আমি বিজেপি করি বলেই ষড়যন্ত্র করে এসব করা হচ্ছে।
পঞ্চায়েত প্রধান সীমা হালদার জানিয়েছেন, শ্যামচাঁদ দীর্ঘদিন ধরেই ঠিকাদারি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত। তারপরেও তিনি ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। পঞ্চায়েত আইন অনুযায়ী ঠিকাদার বা ঠিকাদারি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন না।
এই গ্রাম পঞ্চায়েতটি বর্তমানে তৃণমূলের দখলে রয়েছে। বোর্ড গঠন করতে তৃণমূলকে সহায়তা করেছিলেন বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যদের একাংশ। তাতে তৃণমূলের প্রধান নির্বাচিত হলেও উপপ্রধান হয়েছেন বিজেপির এক সদস্য। এরপরই উপপ্রধানের সঙ্গে বিরোধ বাধে শ্যামচাঁদের।