সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
বিগত কয়েকদিন প্রস্তুতির পর সোমবার খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন মধ্য সেবাগ্রামে বসে বিয়ের আসর। আর পাঁচটা বিয়ের মতোই দুই বৃক্ষের বিয়ে দেওয়া হয়। সকাল থেকে বর রূপে পাকুড় গাছ ও কনে রূপে বট গাছকে ঘিরে বিয়ের নানা উপাচার পালিত হয়। বিদ্ধি থেকে শুরু করে গায়ে হলুদ বাদ যায়নি কিছুই। ছিল বরের টোপর, ধুতি, কনের শাড়ি সহ অন্যান্য পোশাক পরিচ্ছদ। গাছতলা সেজে ওঠে রঙিন আলোয়। বর ও কনে পক্ষের তরফে আয়োজন হয় পৃথক ব্যান্ড পার্টিরও।
কার্পণ্য ছিল না প্রীতিভোজেও। মেনুতে ছিল ভাত, মুগডাল, সব্জিঘণ্ট, পনিরের তরকারি, আমের চাটনি। বিয়ের উপাচার পালনকারী পুরোহিত রাজা ভট্টাচার্য বলেন, মানুষ বিভিন্ন মনোবাসনা নিয়ে বট-পাকুড়ের বিয়ের আয়োজন করে থাকে। তবে এখানে গাছ রক্ষার মতো বার্তাই মূল বিষয় ছিল। বর পক্ষের তরফে ছিলেন বিকাশ রায়, কনেপক্ষের কর্তা ছিলেন গোবিন্দ রায়। তাঁদের সঙ্গে নিয়েই এই আয়োজন। তবে পথেরসাথী ক্লাব ও স্থানীয় মানুষের সহযোগিতাতেই গোটা আয়োজন।
এ ব্যাপারে ইতিহাসবিদ উমেশ শর্মা বলেন, উত্তরবঙ্গের লোকসংস্কৃতির মধ্যেই এ ধরনের পূজার্চনার চল রয়েছে। বট ও পাকুড় শিব-পার্বতী রূপেও পূজিত হন। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মনোস্কামনা নিয়ে এ ধরনের বৃক্ষের পুজো হয়। এ ধরনের প্রকৃতির পুজোর চল দীর্ঘদিনের।
ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, বট-পাকুড়ের বিয়ে আসলে পরিবেশ সংরক্ষণেরও বার্তা। বট একটা এমন গাছ যে প্রকৃতিকে সবচাইতে বেশি রক্ষা করে থাকে। দূষণ কমানোর ক্ষমতা সব ধরনের গাছের চেয়ে এই গাছের বেশি। একটা পূর্ণবয়স্ক বট গাছ সব চাইতে বেশি অক্সিজেন দিয়ে থাকে। নিজস্ব চিত্র